জাস্টিন ট্রুডো। —ফাইল চিত্র।
গত দু’বছরে কানাডার সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল ভারতের। জাস্টিন ট্রুডোর বিদায়ের পর নয়াদিল্লি আশা করছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে। খুব দ্রুতই তার চিহ্ন দেখতে পাওয়া যাবে বলে দাবি সাউথ ব্লকের।
লিবারেল পার্টি তাদের নেতা হিসাবে বেছেছে কানাডার অর্থনীতিবিদ মার্ক কার্নে-কে। তিনিই হতে চলেছেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই কার্নে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে ইতিবাচক ভাবে মুখ খুলেছেন। সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের কথা বলে একই সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নিয়ে হুঁশিয়ারিরও সমালোচনা করেছেন।
ভারত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কার্নে বলেন, ‘‘কানাডার এখন বাণিজ্যিক সম্পর্কে আরও বৈচিত্র্য দরকার। সমমানসিকতাসম্পন্ন দেশের সঙ্গে আরও বেশি করে বাণিজ্য করতে হবে। নতুন বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। ভারতের সঙ্গেও বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের সুযোগ রয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হলে অবশ্যই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা করব।’’
খলিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় এজেন্টদের ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁর ওই মন্তব্যের পর থেকে ভারত-কানাডার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। কার্নে আসার পর এই ছবির যাতে বদল হয় সে জন্য চেষ্টা থাকবে নয়াদিল্লির।