অমরনাথের পথে পুণ্যার্থীরা। ফাইল চিত্র।
পুণ্যার্থীদের জন্য আরও সুগম হতে চলেছে দুর্গম অমরনাথ! সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার অমরনাথ যাত্রাকে আরও নির্বিঘ্ন এবং নির্ঝঞ্ঝাট করে তুলতে ২২ কিলোমিটারের নতুন রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিউজ ১৮ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সব ঋতুর উপযোগী করেই রাস্তাটি বানানোর পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রের সড়ক এবং পরিবহণ দফতর।
সংবাদমাধ্যমটির সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রস্তাবিত সড়কটি কাশ্মীরের চন্দনবাড়ি থেকে সঙ্গম পর্যন্ত যাবে। এই রাস্তার ১১ কিলোমিটার অংশ জুড়ে থাকবে একটি সুড়ঙ্গ, যেটি গণেশ টপ এলাকার নীচ দিয়ে যাবে। এই সড়ক প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ এবং অন্যান্য রসদ জোগালেও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা প্রযুক্তিগত সহায়তা জোগাবে। এ বিষয়ে ইচ্ছুক সংস্থাগুলির জন্য দরপত্র আহ্বান করবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দরপত্র জমা দিতে পারবে সংস্থাগুলি।
সরকারের একটি সূত্রের মতে, এই সড়ক তৈরি হয়ে গেলে লাদাখ এবং জম্মুর মধ্যে যান চলাচলের জন্য একটি বিকল্প রাস্তা তৈরি হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে শ্রীনগর শহরকে এড়িয়েই জম্মু থেকে সীমান্তবর্তী সেনাঘাঁটিগুলিতে দ্রুত রসদ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। গোটা প্রকল্পটির কাজ শেষ হতে কমপক্ষে ৫ বছর সময় লাগতে পারে।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার একদম উত্তর প্রান্তের অনন্তনাগ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত। হিমালয়ের গভীর খাদের ভিতর একটি গুহায় প্রতিষ্ঠিত অমরনাথ মন্দির। প্রতি বছর জুলাই-অগস্ট মাসে উপত্যকায় বরফ সরাবার পর পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয় অমরনাথের দরজা।
কাশ্মীরের পহেলগাম থেকে এই শৈবতীর্থের দূরত্ব ৪০-৪৫ কিলোমিটার। বালতাল থেকে দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। কিন্তু বালতাল থেকে যে রাস্তা অমরনাথের দিকে গিয়েছে তা তুলনায় বেশি বিপজ্জনক ও পিচ্ছিল। এখনও পুণ্যার্থীরা মূলত পায়ে হেঁটে এবং ঘোড়ায় চড়ে অমরনাথে পৌঁছন। নতুন এই রাস্তাটি তৈরি হলে বছরের অধিকাংশ সময়েই হয়তো সড়কপথেই পৌঁছে যেতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত সীমান্তবর্তী এলাকায় পৌঁছে যেতে পারবে সেনাও।