অনাবাসী ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের কাছ থেকে বিনিয়োগ টানার লক্ষ্যে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকার শুরু করেছিল প্রবাসী ভারতীয় দিবস। পরে মনমোহন সরকারও গুরুত্ব দিয়েই এগিয়ে নিয়ে যায় এই অনুষ্ঠান এবং কর্মসূচি। উদ্দেশ্য একই। অন্য রাষ্ট্রে সফল ভারতীয় বংশোদ্ভূত পেশাদার এবং বাণিজ্যকর্তাদের ভারতীয় অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত করা।
গোটা বিষয়টিকে অর্ধচন্দ্র দিয়ে বিদায় করে অর্ধকুম্ভে নিয়ে এসে ফেলা হল মোদী জমানায়! আগামী বছরের গোড়ায় বারাণসীতে প্রবাসী ভারতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের আগে এমনটাই মনে করছেন রাজনীতিকেরা।
উনিশের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক মুখে এটাই নরেন্দ্র মোদীর দেশের মঞ্চে শেষ ‘মেগা ইভেন্ট’ হতে চলেছে। সেখানে কোনও কার্পণ্য না করে হিন্দুত্ব প্রচারের কৌশল নিয়েছে তাঁর সরকার। বিনিয়োগের মত বিষয় চলে গিয়েছে পিছনের সারিতে। বারাণসীতে গঙ্গার তীরে ২১ জানুয়ারি থেকে তিন দিনের এই সম্মেলনে প্রধান থিম ‘হিন্দুত্ব’ই। অতিথি তালিকায় উচ্চবর্ণের হিন্দুদের প্রাধান্য রয়েছে। ইলাহাবাদে সেই সময় চলবে অর্ধ কুম্ভ। তাই
অতিথিদের একটি বিশেষ ট্রেনে নিয়ে যাওয়া হবে গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর পবিত্র সঙ্গমস্থলে। তাঁরা যাতে নির্বিঘ্নে সেখানে ‘ডুবকি’ দিতে পারেন তারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রভিন্দ জগন্নাথ, মার্কিন
কংগ্রেসের প্রথম হিন্দু সদস্য তুলসী গাবার্ড প্রমুখ।