প্রতীকী ছবি।
আর্থিক অপরাধ করে বিদেশে পালালে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে নয়া আইন আনতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র।
বাজেট বক্তৃতাতেই এই আইন তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। সেই ঘোষণার সূত্র ধরেই ‘পলাতক আর্থিক অপরাধী বিল’ (ফিউজিটিভ ইকনমিক অফেন্ডার্স বিল) তৈরি করেছে অর্থ মন্ত্রক। মন্ত্রক সূত্রের খবর, এখন এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন আইন মেনে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। তাই এই বিষয়ে একটিই কড়া আইন আনতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই আইনে কড়া পদক্ষেপ করলে আর্থিক অপরাধীদের দেশ ছেড়ে পালানো কিছুটা আটকানো যাবে বলে আশা কেন্দ্রের।
নয়া খসড়া আইন অনুযায়ী, আর্থিক অপরাধে পরোয়ানা জারি হওয়ার পরে কোনও ব্যক্তি দেশ ছাড়লে তাঁকে ‘পলাতক আর্থিক অপরাধী’র তকমা দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অপরাধের টাকায় কোন কোন সম্পত্তি কিনেছেন তা স্থির করার চেষ্টা করবে বিশেষ আদালত। তেমন সম্পত্তির খোঁজ না মিললে অপরাধের আর্থিক মূল্য নির্ধারণ করা হবে।
বিভিন্ন ভারতীয় ব্যাঙ্কের কাছ থেকে নেওয়া ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ শোধ না করার অভিযোগ রয়েছে বিজয় মাল্যের বিরুদ্ধে। আইনের হাত এড়াতেই তিনি ব্রিটেনে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ। মাল্যের প্রত্যর্পণের চেষ্টা চালাচ্ছে দিল্লি। আজ মহারাষ্ট্রের আলিবাগে তাঁর ১০০ কোটি টাকা দামের একটি খামারবাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।