মুখ্য তথ্য কমিশনারের পদে সম্ভবত যশবর্ধন কুমার সিন্হাকে নিয়োগ করতে চলেছে কেন্দ্র। ছবি সংগৃহীত।
প্রার্থী বাছাইয়ে স্বচ্ছতার নীতি মানা হয়নি হলে অভিযোগ এনেছেন বিরোধীরা। তাদের সেই আপত্তি উড়িয়েই দেশের মুখ্য তথ্য কমিশনারের পদে সম্ভবত যশবর্ধন কুমার সিন্হাকে নিয়োগ করতে চলেছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, পদপ্রার্থী না-হওয়া সত্ত্বেও, সাংবাদিক উদয় মহূর্করকে ইতিমধ্যেই তথ্য কমিশনার পদে নিয়োগ করেছে কেন্দ্র। ২০১৭ সালে নরেন্দ্র মোদীর প্রশাসনিক মডেলের উপরে বই লিখেছেন তিনি।
বিমল জুলকার পদত্যাগের পর থেকে গত দু’মাস মুখ্য তথ্য কমিশনারের পদটি শূন্য রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সেখানে নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে ২৪ অক্টোবরের বৈঠকে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়াও কমিটির সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। সূত্রের খবর, এই প্রস্তাবিত নিয়োগের বিষয়ে নিজের আপত্তির কথা বৈঠকে জানিয়ে এসেছেন তিনি।
যশবর্ধন ১৯৮১ সালের ব্যাচের আইএফএস অফিসার। কূটনীতিক হিসেবে অভিজ্ঞতা দীর্ঘ। এখন কর্মরত কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনার হিসেবে। সূত্রের খবর, ব্যক্তিগত ভাবে তাঁর নিয়োগে নয়, অধীর আপত্তি তুলেছেন নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, পদের জন্য প্রাথমিক ভাবে বাছাইদের তালিকা যে ভাবে তৈরি করা হয়েছে, তাতে এই ক্ষেত্রে নিয়োগে স্বচ্ছতা রাখার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মানা হয়নি। তথ্য কমিশনার পদে উদয়কে নিয়োগের পদ্ধতি নিয়েও অধীর আপত্তি জানিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, উদয়কে ওই পদে নিয়োগের অন্যতম কারণ তাঁর বিজেপি ঘনিষ্ঠতা।
মুখ্য তথ্য কমিশনার এবং তথ্য কমিশনারের পদগুলির জন্য আবেদন জমা পড়েছিল যথাক্রমে ১৩৯টি ও ৩৫৫টি। সূত্রের খবর, তার মধ্যে থেকে যশবর্ধন এবং অর্থ মন্ত্রকের প্রাক্তন আমলা নীরজকুমার গুপ্তের নাম ভাবা হয়েছিল মুখ্য তথ্য কমিশনার পদের জন্য। আর আবেদনকারী ৩৫৫ জনের মধ্যে নাকি নামই ছিল না উদয়ের। কিন্তু নামের তালিকা যাতে শুধু প্রাক্তন আমলায় বোঝাই না-থাকে, সেই যুক্তিতে উদয়ের নাম যোগ হয়। তাঁকে নিয়োগের চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে দাবি।
বিরোধীদের অভিযোগ, এত গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখার তোয়াক্কা করছে না সরকার। বসানোর চেষ্টা হচ্ছে ‘সরকার অনুগামীদের’।