—প্রতীকী ছবি।
নরেন্দ্র মোদী সরকার বিরোধী দলের হাতে থাকা রাজ্য সম্পর্কে কঠোর মনোভাব নিলেও বিজেপির হাতে থাকা রাজ্য সম্পর্কে কোনও পদক্ষেপই করে না বলে মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট।
নাগাল্যান্ডে পুরনির্বাচনে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করতে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশ মানা হয়নি বলে আদালত অবমাননার মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। আজ সেই মামলার শুনানিতে কেন্দ্রকেও নিশানা করে বিচারপতি এস কে কউলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। বেঞ্চের বক্তব্য, ‘‘আপনারা নিজেদের দলের রাজ্য সরকারগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেন না কেন? বিরোধীদের হাতে থাকা রাজ্যগুলির সরকারের বিরুদ্ধে আপনারা চরম মনোভাব নেন। কিন্তু নিজেদের হাতে থাকা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপই করেন না।’’
বিচারপতি কউলের বক্তব্য, ‘‘সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির উন্নয়নের জন্য সংরক্ষণকে ব্যবহার করা হয়। মহিলাদের জন্য সংরক্ষণও সেই ধারণারই ফসল। আপনারা সংবিধানে থাকা বিষয়কে অস্বীকার করছেন কী ভাবে? নাগাল্যান্ড মহিলাদের শিক্ষা, আর্থিক প্রগতি ও সামাজিক মর্যাদার নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা রাজ্যগুলির মধ্যে একটি। সেখানে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ কার্যকর করতে কী সমস্যা হচ্ছে তা আমরা বুঝতে পারছি না।’’
অন্য দিকে একটি নির্বাচনী মামলায় গত কাল সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, প্রার্থী সম্পর্কে সব তথ্য জানার অধিকার ভোটারের আছে। ২০১৯ সালে তেলঙ্গানার জ়াহিরাবাদ কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন ভীমরাও বশ্বন্ত রাও পাটিল। তাঁর বিরুদ্ধে ঝুলে থাকা কয়েকটি মামলার তথ্য পাটিল নির্বাচনী হলফনামায় জানাননি, এই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী মামলা হয়। তেলঙ্গানা হাই কোর্টে দায়ের হওয়া সেই মামলা খারিজ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন পাটিল।
আজ বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্ট ও বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের বেঞ্চের মতে, ‘‘প্রার্থী সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জানার অধিকার আদালতের বিভিন্ন রায়ের মাধ্যমে পেয়েছেন ভোটারেরা। এটা আমাদের সাংবিধানিক আইনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’’
বিচারপতিদের মতে, ‘‘সব তথ্য জেনে ভোট দেওয়ার অধিকার গণতন্ত্রের মূল ধারণার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্বাধীনতা ও স্বরাজের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের ফলে নাগরিকেরা ভোটদানের এই অধিকার পেয়েছেন। সংবিধানের ৩২৬ নম্বর অনুচ্ছেদে এর প্রতিফলন ঘটেছে। তবে এখনও ভোটদানের অধিকার মৌলিক অধিকারের মর্যাদা পায়নি।’’