প্রতীকী ছবি
শত্রু দেশগুলি ভারতের যুব সমাজকে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে। যুব সমাজের মধ্যে কট্টরপন্থা প্রচারে তৎপর রয়েছে তারা। উদয়পুর এবং অমরাবতী হত্যাকাণ্ডের তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বলতে গিয়ে আজ লোকসভায় এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। যদিও বিরোধীরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার যতই বড় বড় কথা বলুক না কেন, বিজেপির সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের যোগাযোগের অভিযোগ নতুন নয়। উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্তেরাই তার টাটকা উদাহরণ।
বিজেপি থেকে সাসপেন্ড হওয়া মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের পরে রাজস্থানের উদয়পুর এবং মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে দু’জনকে খুন করা হয়েছিল। ওই দুই ঘটনার তদন্ত করছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের অনুমান আইএসের মতো কট্টরপন্থী জঙ্গি সংগঠনের হাত থাকতে পারে এই দুই হত্যাকাণ্ডের পিছনে। যুব সমাজের মধ্যে তারা জঙ্গি মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এবং যুবকদের কট্টরপন্থী মতাদর্শে দীক্ষিত করে ব্যক্তি-হত্যা সংঘটিত করার কৌশল নিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই আজ বলেন, ‘‘ভারতকে শত্রু মনে করে এমন কিছু দেশ বিশ্বের বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের মাধ্যমে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে কট্টরপন্থা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু সেই চেষ্টা খুব একটা কার্যকর হয়নি।’’
কেন্দ্রের দাবি, সরকার সংখ্যালঘুদের সাংবিধানিক রক্ষাকবচকে সুরক্ষিত রেখেছে। তাই কট্টরপন্থী মতাদর্শ তেমন ভাবে ভারতে প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না। দেশের যুব সমাজের মধ্যে কট্টরপন্থী মতাদর্শ যাতে শত্রুমনোভাবাপন্ন দেশগুলি ছড়িয়ে দিতে না পারে, সে জন্য কেন্দ্র বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে বলেও আজ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
বিরোধী শিবির অবশ্য বলছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ল়ড়াইয়ের কথা বললেও জঙ্গি-ছোঁয়া থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারছে না বিজেপি। সম্প্রতি উদয়পুরে খুনিদের সঙ্গে বিজেপি নেতার ছবি দেখা গিয়েছিল। অমরাবতীতে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের সঙ্গে বিজেপি ঘনিষ্ঠ নির্দল সাংসদ নবনীত রানার ছবি সামনে এসেছিল। চলতি মাসেই জম্মুতে গ্রামবাসীর হাতে পাকড়াও হওয়া লস্কর জঙ্গি তালিব হুসেন বিজেপির আইটি সেলের নেতা। বিজেপি শ্রীনগর পুর নির্বাচনে প্রার্থী করেছিল জঙ্গি নেতা মাসুদ আজ়হারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মহম্মদ ফারুক খানকে।