ছবি: পিটিআই।
তফসিলি জাতি-জনজাতি নিপীড়ন প্রতিরোধ আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ২০ মার্চের রায় নিয়ে পুরোপুরি আপত্তি জানাল না মোদী সরকার। আজ শীর্ষ আদালতে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্র। তবে শুনানির সময়ে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কেন্দ্র আগাম জামিনের সুরাহার বিরোধিতা করেনি। শুধুমাত্র গ্রেফতারির আগে প্রাথমিক তদন্ত ও অনুমতির শর্তের বিরোধিতা করেছে।
কিন্তু বিচারপতি এ কে গয়াল মন্তব্য করেছেন, ‘‘শুধু তফসিলি জাতি-জনজাতির মানুষরা এই আইনের অপব্যবহার করছেন, আমরা তা বলিনি। পুলিশের কথাও বলেছি। গ্রেফতারির ক্ষেত্রে একটা পদ্ধতি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। যা আইনে ছিল না।’’ গত ২০ মার্চ বিচারপতি এ কে গয়াল ও বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের বেঞ্চ তফসিলি জাতি-জনজাতি নিপীড়ন প্রতিরোধ আইনে অভিযুক্তদের জন্য মূলত তিনটি রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করে। এক, আগাম জামিনের বন্দোবস্ত। দুই, গ্রেফতারির আগে প্রাথমিক তদন্ত। তিন, সরকারি কর্মীদের গ্রেফতারির আগে নিয়োগকর্তার অনুমতি। অন্য ক্ষেত্রে এসএসপি-র অনুমতি।
ওই রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জির দ্রুত শুনানির জন্য আজ প্রথমে বিচারপতি গয়াল, তার পরে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর দ্বারস্থ হন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল। সাধারণত পুনর্বিবেচনার আর্জি বিচারপতিদের চেম্বারে শোনা হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অ্যাটর্নি জেনারেল খোলা এজলাসে শুনানির অনুরোধ জানান। তা-ও মেনে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
চুপ কেন মোদী, প্রশ্ন রাহুলের
আদালতের যুক্তি, দলিতদের খুন, ধর্ষণ, মারধরের মতো অপরাধে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে এফআইআর দায়ের করায় কোনও বাধা নেই। প্রাথমিক তদন্তের পরে সেখানে তফসিলি জাতি-জনজাতি আইনের ধারা যোগ হতে পারে। সাত দিনের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করতে বলা হয়েছে। চাইলে এক ঘন্টা, এমনকী ১৫ মিনিটের মধ্যেও প্রাথমিক তদন্ত শেষ হতে পারে। তফসিলি জাতি-জনজাতির নির্যাতিতদের ক্ষতিপূরণের উপরও কোনও বিধি জারি হয়নি।