Hydrabad

হায়দরাবাদ গণধর্ষণ-কাণ্ড: দু’রাতে দুই হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয় নাবালিকাকে, মিলল নয়া তথ্য

গত মঙ্গলবার নাবালিকার মা হায়দরাবাদের দাবিরপুরা থানায় নিখোঁজ এফআইআর দায়ের করেন। তিনি জানান, সোমবার ওষুধ কিনতে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি তাঁর ১৪ বছরের মেয়ে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

হায়দরাবাদে গণধর্ষণ-কাণ্ডে নাবালিকাকে দু’রাতে দু’টি ভিন্ন হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুই হোটেলেই নাবালিকার সঙ্গে অভিযুক্ত দু’জনকে দেখা গিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর এই তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি পুলিশ সূত্রের। নাবালিকাকে অপহরণ এবং যৌনহেনস্থার অভিযোগে ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূ্ত্রে খবর, হোটেলের ভিতরের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

গত মঙ্গলবার নাবালিকার মা হায়দরাবাদের দাবিরপুরা থানায় নিখোঁজ এফআইআর দায়ের করেন। তিনি জানান, সোমবার ওষুধ কিনতে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি তাঁর ১৪ বছরের মেয়ে। তাঁর অভিযোগ, মেয়েকে মাদক খাইয়ে যৌন হেনস্থা করেছেন দুই ব্যক্তি। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে অপহরণের মামলায় দায়ের করে তদন্তে নেমে প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে পুলিশ জানতে পারে, নাবালিকাকে একটি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর পর বুধবার নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তার কিছু পরেই গ্রেফতার করা হয় দুই অভিযুক্ত—নাইমাথ (২৬) আর সৈয়দ রবীশ (২০)। তাঁদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ এবং পকসো আইনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। নাবালিকারও ফরেন্সিক ও মেডিক্যাল পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয় পুলিশের তরফে।

পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে, নাবালিকাকে সোমবার রাতে ‘স্রুজানা ইন’ নামে একটি হোটেল নিয়ে যাওয়া। মঙ্গলবার তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ‘থ্রি ক্যাসেল’ নামক হোটেলে। দুই অভিযুক্ত সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্র জানায়, রবীশ স্কুলছুট পড়ুয়া। নাবালিকারই প্রতিবেশী। অন্য দিকে, নাইমাথ সৌদি আরবে একটি চশমার দোকানে কাজ করতেন। গত মার্চেই দেশে ফিরে এসেছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement