ফাইল চিত্র।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলায় ৪ জুন থেকে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে অভিযুক্তদের বয়ান রেকর্ড করা শুরু হবে। লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশী, উমা ভারতীরা সেই তালিকায় রয়েছেন।
আজ লখনউয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক সুরেন্দ্র কুমার যাদব বাবরি ধ্বংসের মামলায় ৩২ অভিযুক্তকে ৪ জুন থেকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্তদের আইনজীবীরা আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন, করোনা-সঙ্কট ও লকডাউনের জন্য সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। অভিযুক্তদের হাজিরার জন্য আরও সময় দেওয়া হোক। আর্জি মেনেই ৪ জুন থেকে তাঁদের হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আডবাণী-জোশীর বয়সের কারণে তাঁদের সশরীরে হাজির থাকতে হবে, না কি লকডাউনের জন্য ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতের মুখোমুখি হওয়ার অনুমতি মিলবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আইনজীবীরা মনে করছেন, ভিডিয়ো কনফারেন্সে হাজিরার অনুমতি মিলতে পারে। আইন অনুযায়ী, আডবাণী-জোশীদের বিরুদ্ধে সিবিআই কী কী তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করেছে, তা ব্যাখ্যা করা হবে। তার পরে অভিযুক্তরা বয়ান নথিভুক্ত করাবেন। তাঁরা নিজেদের নির্দোষ বলে প্রমাণেরও সুযোগ পাবেন।
সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার জমিতে রামমন্দির তৈরির পক্ষে রায় দেওয়ার পরেই প্রশ্ন উঠেছিল, অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় কী হবে! ১৯৯২-এর ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনায় গত ২৮ বছর ধরে মামলা চলছে। সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার জমিতে রামমন্দির তৈরির পক্ষে রায় দিলেও বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনাকে ‘আইনের শাসনের গুরুতর লঙ্ঘন’ বলে আখ্যা দিয়েছিল। মসজিদ ভেঙে আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছিল বলেও সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করে। আজ অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় কাটিয়ারের মন্তব্য, ‘‘অযোধ্যায় বাবরি বলে কোনও বস্তুই ছিল না। থাকলে সেখানে রামমন্দির তৈরি হত না। এখন মন্দির তৈরির কাজ শুরু হতে প্রমাণ মিলছে, আগে ওখানে রামমন্দির ছিল। ওখানেই রামের জন্মভূমি।’’ উমা ভারতী আগেই বলেছিলেন, ‘‘ওই ঘটনা নিয়ে কোনও দিনই ক্ষমাপ্রার্থী ছিলাম না। এখনও নই। আদালত যা রায় দেবে, মাথা পেতে নেব।’’ এ দিকে, রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে সুর চড়াল পাকিস্তান। পাক বিদেশ মন্ত্রকের টুইট, ‘‘বিশ্ব যখন করোনার সঙ্গে লড়ছে, তখন আরএসএস-বিজেপি একসঙ্গে হিন্দুত্বের কর্মসূচির এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যস্ত।’’