সংস্থার বিভিন্ন দফতরে হানা সিবিআইয়ের। —ফাইল চিত্র।
ঋণের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগে এ বার দিল্লির ভূষণ পাওয়ার অ্যান্ড স্টিল সংস্থার দফতরে সিবিআই হানা। শনিবার থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকা, কলকাতা, চণ্ডীগড়, ওড়িশা-সহ বিভিন্ন শহরে তাদের দফতরে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সংস্থার ডিরেক্টর, প্রোমোটার এবং তাঁদের সহযোগীদের বাসভবনেও তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে একাধিক নথিপত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর।
শনিবার একটি বিবৃতি জারি করে সিবিআই জানায়, ২০০৭-১৪ সালে মধ্যে ৩৩টি ব্যাঙ্ক ও অর্থনৈতিক সংস্থা থেকে প্রায় ৪৭ হাজার ২০৪ কোটি টাকা ঋণ নেয় ভূষণ পাওয়ার অ্যান্ড স্টিল সংস্থা। তা শোধ করতে না পারায়, ব্যাঙ্ক কনসর্টিয়ামের নেতৃত্বে থাকা পঞ্জাব ব্যাঙ্ক প্রথমে তাদের নেওয়া ঋণকে অনুত্পাদক সম্পত্তি বলে (এনপিএ) ঘোষণা করে। পরে অন্য ব্যাঙ্কগুলিও সেই পথে হাঁটে।
তবে ঋণের টাকা বেনামি সংস্থায় পাচার করার অভিযোগেই ওই সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, চণ্ডীগড় ও দিল্লিতে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের আন্তর্জাতিক শাখা, কলকাতায় ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অব কমার্স, আইডিবিআই ব্যাঙ্কের শাখা এবং ইউকোব্যাঙ্কের আন্তর্জাতিক শাখার ঋণ অ্যাকাউন্ট থেকে ভূষণ পাওয়ার অ্যান্ড স্টিল সংস্থা ২ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা সংস্থার ডিরেক্টর ও কর্মীদের সাহায্যে বিভিন্ন বেনামি সংস্থার অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক ক্ষমতাই প্রয়োগ করেছি, অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক, মমতাকে পাল্টা চিঠি কমিশনের
আরও পড়ুন: ‘এবার হবে ন্যায়’, কমিশন চিহ্নিত বিতর্কিত অংশ বাদ দিয়েই ভোটের গান প্রকাশ করল কংগ্রেস
ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে কেন্দ্রীয় ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্সও হাতানোর অভিযোগ ওই সংস্থার বিরুদ্ধে। তার জেরে সংস্থার চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জয় সিঙ্ঘল, ভাইস চেয়ারম্যানব আরতি সিঙ্ঘল,ডিরেক্টর রবিপ্রকাশ গয়াল, রাম নরেশ যাদব, হরদেব চাঁদ বর্মা, রবীন্দ্র কুমার গুপ্ত এবং রীতেশ কপূরের নামে ইতিমধ্যেই প্রতারণা মামলা দায়ের করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এফআইআর দায়ের হয়েছে কয়েকজন ব্যাঙ্ককর্মীর বিরুদ্ধেও।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)