বিজয় মাল্য (বাঁ দিকে) এবং নীরব মোদী। —ফাইল চিত্র।
ঋণখেলাপি ‘পলাতক’ ব্যবসায়ীদের নাগাল পেতে এ বার ব্রিটেনে পাড়ি দিচ্ছেন ভারতের তদন্তকারীরা। সংবাদ সংস্থা এএনআই সরকারের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ইডি, সিবিআই এবং জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে তৈরি হওয়া একটি উচ্চপর্যায়ের দল শীঘ্রই ব্রিটেনে যেতে চলেছে। বিদেশ মন্ত্রকের মাধ্যমে ব্রিটেনের সর্বোচ্চ প্রশাসনের সঙ্গে কথাবার্তা বলে মাল্য, মোদীদের প্রত্যর্পণের তোড়জোড় শুরু করার চেষ্টা করবে ওই দলটি। যদিও কেন্দ্রের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিদেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিক তদন্তকারীদের দলটির নেতৃত্বে থাকবেন। ব্রিটিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সে দেশে থাকা এবং বিদেশে নামে-বেনামে রাখা সম্পত্তিগুলিকেও বাজেয়াপ্ত করার আবেদন জানাবে ভারতের দলটি। হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী, কিংফিশার এয়ারলাইন্সের প্রাক্তন মালিক বিজয় মাল্য ছাড়াও আরও এক পলাতকের প্রত্যর্পণের বিষয়ে গতি আনতে চাইছে ভারত। তিনি হলেন অস্ত্রব্যবসায়ী সঞ্জয় ভান্ডারী। ইউপিএ জমানায় একাধিক অস্ত্রচুক্তিতে মধ্যস্থতা করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালে ইডি এবং আয়কর দফতর সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার পরেই দেশ ছাড়েন তিনি। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢরার ‘ঘনিষ্ঠ’ এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, তিনি লন্ডন এবং দুবাইতে সম্পত্তি কিনেছেন।
ভারত এবং ব্রিটেনের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী, অর্থনৈতিক অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তপ্রক্রিয়া চললে এক দেশ অপর দেশের সঙ্গে তদন্ত সংক্রান্ত তথ্য আদানপ্রদান করবে। এর আগে নীরব এবং মাল্যকে প্রত্যর্পণের চেষ্টা করলেও আইনি জটের কারণে এখনও পর্যন্ত তাতে সফল হয়নি ভারত। ঘটনাচক্রে, লোকসভা ভোটের আগে ফের এই বিষয়ে তৎপরতা দেখানোর ইঙ্গিত দিল কেন্দ্র।