জেকেএলএফ নেতা ইয়াসিন মালিক। —ফাইল চিত্র।
জেকেএলএফ নেতা ইয়াসিন মালিকের বিচারের জন্য ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের সুবিধা-সহ তিহাড় জেলে একটি কার্যকরী আদালত রয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র। ২১ নভেম্বর শীর্ষ আদালত ইয়াসিন মালিকের বিচার পরিচালনার জন্য তিহাড় জেলে একটি অস্থায়ী আদালত কক্ষ তৈরি করা যায় কি না, খতিয়ে দেখতে বলেছিল। তার উত্তরেই সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বিচারপতি অভয় এস. ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের বেঞ্চকে এ কথা জানান।
ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে বর্তমানে অপহরণ ও হত্যা সংক্রান্ত দু’টি মামলার বিচার চলছে। সেপ্টেম্বর মাসে জম্মু-কাশ্মীরের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক (টাডা/পোটা) সেই সূত্রে ইয়াসিনকে সশরীরে হাজির করানোর পরোয়ানা জারি করেছেন। ওই নির্দেশের বিরুদ্ধেই আপিল করেছে সিবিআই। গত সপ্তাহেই নির্দেশ স্থগিত করে শীর্ষ আদালত সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়েছে, সেই সঙ্গে ওই মামলাগুলির সহ-অভিযুক্তদেরও এই আপিল মামলায় যুক্ত করতে বলেছে। আগামী সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
তুষার আজ আদালতকে জানিয়েছেন, তিহাড় জেলে একটি সম্পূর্ণ কার্যকরী আদালত রয়েছে। অতীতে সেখানে বিচারপ্রক্রিয়ার কাজ হয়েছে, ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের সমস্ত সুবিধাও রয়েছে। সিবিআই ইয়াসিনকে জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ে যেতে চায় না। ইয়াসিন মালিক ইতিমধ্যেই অন্য একটি সন্ত্রাস মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। গত বছর সলিসিটর জেনারেল ইয়াসিনকে এমনকি সুপ্রিম কোর্টে হাজির করানোর ব্যাপারেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দিয়ে তিনি বলেছিলেন যে আদালতে ইয়াসিন মালিকের উপস্থিতি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ। ইয়াসিন পালিয়ে যেতে পারেন, অপহৃত হতে পারেন, তাঁকে হত্যা করাও হতে পারে। এ দিন তুষার ইয়াসিনের নিরাপত্তা প্রসঙ্গ তোলেন। লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদের সঙ্গে তাঁর একটি ছবি দেখিয়ে বলেন, ইয়াসিন কোনও সাধারণ অপরাধী নন।