সাংবাদিক খুনে অভিযুক্ত শাসক জোটের ৩ নেতা

সাংবাদিককে খুন করার ঘটনায় সিবিআই আজ ত্রিপুরার ক্ষমতাসীন জোটের শরিক আইপিএফটির তিন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে মামলা শুরু করল। এঁরা হলেন মান্দাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ধীরেন্দ্র দেববর্মা, বলরাম দেববর্মা ও মান্দাই ডিভিশন কমিটির সভাপতি অমিত দেববর্মা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৮ ০৬:১৪
Share:

সাংবাদিককে খুন করার ঘটনায় সিবিআই আজ ত্রিপুরার ক্ষমতাসীন জোটের শরিক আইপিএফটির তিন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে মামলা শুরু করল। এঁরা হলেন মান্দাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ধীরেন্দ্র দেববর্মা, বলরাম দেববর্মা ও মান্দাই ডিভিশন কমিটির সভাপতি অমিত দেববর্মা। অভিযোগ আনা হয়েছে রাজ্যের এই জনজাতি দলটির ৩০০ থেকে ৫০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় সমর্থকের বিরুদ্ধেও। রাজ্য পুলিশের সিট এই তিনজনের বিরুদ্ধেই চার্জশিট দিয়েছিল আগে। সিপিএমের তাই বক্তব্য, আমরা বরাবরই বলে এসেছে রাজ্যের পুলিশই এই তদন্তে উপযুক্ত। সেটাই প্রমাণ হল। কংগ্রেস একে আইপিএফটিকে চাপে রাখতে বিজেপির কৌশল হিসেবেই দেখছে।

Advertisement

আইপিএফটির সভাপতি তথা রাজস্বমন্ত্রী নরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি এখনও এ বিষয়ে কিছু জানি না।’’ আর বিজেপির মুখপাত্র মৃণালকান্তি দেবের বক্তব্য, ‘‘এটা সিবিআইয়ের বিষয়। তাই এই মুহূর্তে আমরা কোনও মন্তব্য করব না।’’

গত বছর ২১ সেপ্টেম্বর স্থানীয় টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক শান্তনু ভৌমিক পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার মান্দাইয়ে একটি পথ অবরোধের খবর করতে গিয়ে খুন হন। এর পরে নভেম্বরের ২০ তারিখ একই জেলার আর কে নগরে ত্রিপুরা স্টেট রাইফলসের দ্বিতীয় ব্যাটালিয়নের সদর দফতরে খুন হন স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক সুদীপ ভৌমিক। এই দু’টি খুনের ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার আগে বাম জমানায় গঠিত ত্রিপুরা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) শান্তনু হত্যা মামলায় আইপিএফটির তিন নেতার বিরুদ্ধেই চার্জশিট পেশ করেছিল। ত্রিপুরা হাইকোর্টের নির্দেশে চার্জশিট পেশের আগেই সুদীপ হত্যার তদন্ত বন্ধ করতে হয় সিটকে।

Advertisement

সিবিআইয়ের এ দিনের পদক্ষেপে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গৌতম দাস বলেন, ‘‘তখন রাজ্য পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল জি এস রাওয়ের নেতৃত্বে গঠিত ‘সিট’ যাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল। সিবিআই আজ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আমাদের রাজ্যের পুলিশ উপযুক্ত ছিলেন— নির্বাচনের সময় আমরা বারবার বলেছিলাম। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি উঠেছিল। সিবিআই আগেও রাজ্যের বিভিন্ন মামলায় তদন্ত করেছে। কিছুই করতে পারেনি।’’

সরকারে আসার পরে আইপিএফটি বিভিন্ন বিষয়ে বিজেপির সঙ্গে ঝামেলা করছে। ব্লক উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান পদ নিয়ে দু’দলের বিবাদে তারা পথ অবরোধ করেছে, এমনকি কয়েকটি ব্লক অফিসে তালাও লাগিয়েছিল। অথচ এইপিএফটির সঙ্গে জোট সরকার গড়লেও সরকার চালাতে সংখ্যার নিরিখে তাদের এখন দরকার নেই বিজেপির। এ কথা মনে করিয়ে দিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক ও মুখপাত্র তাপস দে বলেন, ‘‘আইপিএফটি দলটির কোনও নীতি বা আদর্শ নেই। সিবিআই মামলা করেছে এতে আমরা খুশি। তাদের চাপে রাখতে এ বার সিবিআইকে কাজে লাগাবে বিজেপি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement