চণ্ডীগড়ের একটি পার্কে সিপ্পি সিধুর গুলিবিদ্ধ দেহ পাওয়া হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত।
জাতীয় স্তরের শ্যুটার সুখমনপ্রীত সিংহ সিধু ওরফে সিপ্পির খুনের প্রায় সাত বছর পর এই কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতারি সিবিআইয়ের। হিমাচল প্রদেশের ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি সাবিনা সিংহের মেয়ে তথা অভিযুক্ত কল্যাণী সিংহকে বুধবার গ্রেফতার করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারীরা। কল্যাণীকে চার দিনের সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
ছেলের খুনের মামলায় এত বছর পর প্রথম গ্রেফতারিতে স্বাভাবিক ভাবেই আশার আলো দেখছেন সিপ্পির মা দীপেন্দ্র কউর সিধু। তদন্তকারীদের কাছে বরাবরই তাঁর দাবি ছিল, খুনের রাতে কল্যাণীই ছেলেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘এই দিনটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। গ্রেফতারিতে দেরি হয়েছে বটে, তবে আইনের উপর এখনও আস্থা রয়েছে। আশা করি, অপরাধীর শাস্তি হবে।’’ বস্তুত, গোড়া থেকেই কল্যাণীকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তুলেছেন তিনি।
সাত বছর আগে ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাতে চণ্ডীগড়ের সেক্টর ২৭-এর একটি পার্কে সিপ্পির গুলিবিদ্ধ দেহ পাওয়া হয়েছিল। ঘটনার দিন দুয়েক আগেই কানাডা থেকে দেশে ফিরেছিলেন ৩৫ বছরের শ্যুটার তথা কর্পোরেট আইনজীবী সিপ্পি। পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এসএস সিধুর নাতি সিপ্পির হত্যাকাণ্ডে গোটা পঞ্জাব জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ঘটনার পরের বছর পঞ্জাবের রাজ্যপালের হস্তক্ষেপে মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে।
২০১৬ সালে মামলার গোড়ার দিকে দীপেন্দ্রর মতোই তদন্তকারীদেরও দাবি ছিল, সিপ্পি-খুনে কোনও মহিলার হাত রয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রমাণ দিতে পারলে ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কারের ঘোষণাও করে সিবিআই। গত বছর তা বাড়িয়ে ১০ লক্ষ করা হয়েছিল। তবে অভিযুক্ত মহিলার সন্ধান পাওয়া যায়নি। যদিও আদালতের কাছে আবেদন করে এ সম্পর্কে তদন্ত করতে থাকে সিবিআই। বুধবার সিবিআইয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘তদন্তে অভিযুক্ত কল্যাণী সিংহের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। এর পর তা খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।