অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
বিহারে জাতগণনায় মুসলিম এবং যাদবদের সংখ্যাধিক্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই বেশি করে দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর মতে, নীতীশ কুমার সরকারের ‘তোষণ-নীতি’ ফলেই জাতগণনায় যাদব এবং মুসলিমদের আধিক্য। পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেননি আরজেডি নেতা তথা বিহারে উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। তাঁর চ্যালেঞ্জ, বিহারের জাতগণনা যদি ভুল হয়, তা হলে কেন্দ্র গোটা দেশে জাতগণনা করুক।
বিহারের মুজফফরপুরে আজ সমাবেশ করেন শাহ। সেখানে তিনি একযোগ রাজ্যের ক্ষমতাসীন জেডিইউ এবং আরজেডি-কে নিশানা করেন। জোট সরকারের আমলে বিহারে ‘গুন্ডারাজ’ চলছে বলেও আক্রমণ শানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গোটা দেশে জাতগণনার জন্য কেন্দ্রের উপরে লাগাতার চাপ দিচ্ছে বিরোধী শিবির। দাবি উঠছে এনডিএ শিবির থেকেও। এই পরিস্থিতিতে পাল্টা আক্রমণে গিয়েছেন শাহ। তিনি বলেছেন, ‘‘বিহারে তোষণ নীতি চলছে। তার জেরেই এখানে জাতগণনায় যাদব এবং মুসলিমদের আধিক্য।’’ শাহকে পাল্টা বিঁধেছেন তেজস্বী। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘শাহের বক্তব্য শুনেছি। উনি বলেছেন জাতগণনায় যাদব ও মুসলিমদের সংখ্যা বাড়ছে এবং অন্যদের কমছে। আমাদের জাতগণনা যদি ভুল হয়, তা হলে গোটা দেশে কেন্দ্র তা করাচ্ছে না কেন? কে ওদের আটকাচ্ছে?’’
আজকের সমাবেশে নীতীশ এবং লালুকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি শাহ। তাঁর কথায়, ‘‘নীতীশ ভাবছেন বিরোধী জোট ইন্ডিয়া তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করবে। কিন্তু তিনি বুঝতে পারছেন না, তাঁকে ইন্ডিয়া আহ্বায়ক পর্যন্ত করবে না।’’ বিহারে লালু ও নীতীশ ‘পরিবারতন্ত্র’ চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কটাক্ষ, ‘‘এক জন আশা করে বসে রয়েছেন তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। আর এক জনের আশা তাঁর ছেলে মুখ্যমন্ত্রী হবে।’’ সংবাদ সংস্থা