১২ বছরের নীচে ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ডের অর্ডিন্যান্স পাশ করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
আজ, শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি, ধর্ষণের মামলাগুলির যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি হয় তার জন্য ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠনেরও আবেদন জানানো হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া কাণ্ডের পরই ধর্ষণের শাস্তির ক্ষেত্রে আইনের বদল আনার জন্য গত সপ্তাহেই প্রস্তাব রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী মানেকা গাঁধী। এ দিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে শিশু ধর্ষণের চূড়ান্ত শাস্তি কী হতে পারে তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। শেষমেশ, মৃত্যুদণ্ডতেই সিলমোহর দিয়ে দিল মন্ত্রিসভা। অর্ডিন্যান্সটি এ বার রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ: আইন অনেক হয়েছে, কিন্তু আসল ছবিটা কী?
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড মেরে ফেলার প্রবণতাই বাড়াবে
বর্তমানে চালু ‘শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইন, ২০১২’ (পকসো) অনুযায়ী, ১২ বছরের কম বয়সি শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও কমপক্ষে সাত বছরের সাজার বিধান রয়েছে। তবে অপরাধীদের কড়া সাজা দিতে এই আইনটির সংশোধনের প্রক্রিয়া যে শুরু হয়ে গিয়েছে, সে কথা সুপ্রিম কোর্টকে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। পরিস্থিতিকে কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে অবশেষে অপরাধীর মৃত্যুদণ্ডতেই সায় দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।