নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে যোগ দিয়ে আটক ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ। ছবি: পিটিআই
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হয়ে আটক হলেন ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর টাউন হলের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বেঙ্গালেরুর নাগরিকরা। আগে থেকেই ১৪৪ ধারা জারি ছিল সেখানে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়ে সেখান থেকেই রামচন্দ্রকে আটক করে পুলিশ। শুধু রামচন্দ্রই নন, এ দিন দিল্লিতে লালকেল্লা্র সামনে থেকে আটক করা হয়েছে স্বরাজ ভারতের সর্বভারতীয় সম্পাদক যোগেন্দ্র যাদবকেও। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সরব হয়েছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা। টুইটারে প্রতিবাদ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
এ দিন সংবাদমাধ্যমকে রামচন্দ্র গুহ বলেন, ‘‘আমি গাঁধীর ছবি হাতে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলাম। গণতন্ত্রের বিপদ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এই সময়ে পুলিশ আমাকে আটক করেছে।’’
ইতিহাসবিদকে আটক করার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি রামচন্দ্র গুহকে আটক করার ঘটনার তীব্র নিন্দা করি। সরকার ছাত্রদের ভয় পাচ্ছে। দেশের সর্বোৎকৃষ্ট ইতিহাসবিদকেও ভয় পাচ্ছে এই সরকার। প্রতিবাদীদের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’’
আরও পড়ুন:বিক্ষোভে উত্তাল দিল্লি, বন্ধ করা হল ১৬ মেট্রো স্টেশন, বেঙ্গালুরুতে আটক ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ
রামচন্দ্রের অভিযোগ, পুলিশ সরকারের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা এদিন শান্তিপূর্ণ ভাবে জমায়েত করছিলাম। তারপরও আমাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে পুলিশ।’’ তাঁর স্পষ্ট প্রশ্ন, ‘‘দেশে কি স্বৈরতন্ত্র চলছে?’’
এ দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়েই রামচন্দ্রকে বাধা দিতে থাকে পুলিশ। তাঁকে রীতিমতো টানাহ্যাচড়া করে টাউন হল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বেঙ্গালুরু পুলিশ প্রধান ভাস্কর রাও বলেন, ‘‘এটি একটি আন্তর্জাতিক জায়গা। সারা পৃথিবী থেকে বহু মানুষ এখানে আসেন পড়াশোনা ও কাজের সুবাদে। এই জায়গার শান্তি রক্ষার জন্যে আমরা সকলের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।’’ উত্তরে রামচন্দ্র গুহ পাল্টা বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তের কারণেই এই আন্তর্জাতিক জায়গার শান্তি নষ্ট হচ্ছে।’’
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা এই ঘটনার জন্যে কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন। তাঁর কথায়: ‘‘আজকের ঘটনার পিছনে কংগ্রেসের দায় রয়েছে।মুসলিম সম্প্রদায়কে রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। আমি সকলকে শান্তি রক্ষা করতে অনুরোধ করছি।’’