বাসস্ট্যান্ড গিয়েছে চুরি! প্রতীকী ছবি।
কোনও চেয়ার, টেবিল বা আসবাব নয়, রাতারাতি ‘চুরি’ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক বাসস্ট্যান্ড! হ্যাঁ, বিষয়টি শুনতে অদ্ভুত লাগলেও বাস্তবে এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা বেঙ্গালুরু শহরে।
সন্ধ্যায় যে বাসস্ট্যান্ড শহরের রাস্তায় দেখা গিয়েছে, ভোর হতেই সেই বাসস্ট্যান্ড গায়েব। শুধু সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে ইট, বালি, সিমেন্টের স্তূপ। এই চুরির তালিকায় নতুন সংযোজন কল্যাণ নগরের বাসস্ট্যান্ড। বেশ কিছু বাসস্ট্যান্ডকে ভেঙে ফেলা হয়েছে বাণিজ্যিক কারণে। আবার এমন অনেক বাসস্ট্যান্ড রয়েছে, যেগুলিকে স্রেফ ‘চুরি’ করা হয়েছে।
স্থানীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কল্যাণ নগরের বাসিন্দাদের দাবি, ১৯৯০ সালে বাসস্ট্যান্ডটি নির্মাণ করা হয়েছিল বেসরকারি উদ্যোগে। কিন্তু রাতারাতি কারা যেন সেই বাসস্ট্যান্ডটিকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। যদিও বেঙ্গালুরু মেট্রোপলিটান ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (বিএমটিসি)-এর আধিকারিকরা দাবি করেছেন, বাসস্ট্যান্ডটিকে সরিয়ে দিয়েছে বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে (বিবিএমপি)।
২০১৫ সালের মে মাসে একটি আস্ত বাসস্ট্যান্ড ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনায় বাসস্ট্যান্ডের চেয়ার, ছাদ, থাম— কোনও কিছু বাদ রাখা হয়নি। সব তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দুপানাহাল্লি বাসস্ট্যান্ডের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। ২ লক্ষ টাকা খরচ করে বানানো সেই বাসস্ট্যান্ড রাতারাতি ‘গায়েব’ হয়ে গিয়েছিল। ২০১৪ সালে ২০ বছরের পুরনো রাজরাজেশ্বীনগরের একটি বাসস্ট্যান্ডও ‘নিখোঁজ’ হয়ে যায়।
শহর থেকে একের পর এক বাসস্ট্যান্ড ‘গায়েব’ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিবিএমপি-র তখন ব্যাখ্যা ছিল, লোহালক্কর এবং ইস্পাতের লোভে বাসস্ট্যান্ডগুলিকে নিশানা বানাচ্ছে চোরের দল। শহরে ৩ হাজারের মতো বাসস্ট্যান্ড রয়েছে। বিবিএমপির এক শীর্ষ আধিকারিকের দাবি, মেট্রোর কাজ বা অন্য কোনও নির্মাণের জন্য অনেক ক্ষেত্রে বাসস্ট্যান্ডগুলিকে সরানো হয়েছে। তা হলে বাসস্ট্যান্ডগুলি ‘চুরি’ হচ্ছে কী ভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শহরবাসীরা।