প্রতীকী ছবি।
কিছুটা হলেও সুরাহা করা গিয়েছে স্কুলছুট সমস্যার। কিন্তু শিক্ষার মান নিয়ে দুশ্চিন্তা যে থেকেই যাচ্ছে, সেটা স্বীকার করে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার লোকসভায় বাজেট পেশ করে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা পড়ুয়াদের স্কুলে নিয়ে আসতে পারলেও এখনও পর্যন্ত শিক্ষার মান দুশ্চিন্তার কারণ।’’ সেই জন্য প্রাক্-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত কোনও স্তর ভাগ না-করেই শিক্ষার মান উন্নয়নের ব্যবস্থা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, মান উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে আসলে পাশ-ফেল ব্যবস্থা ফেরানোর দিকেই ইঙ্গিত জেটলির।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে উপজাতিদের শিক্ষা উন্নয়নে। যে-সব ব্লকে ৫০ শতাংশের বেশি তফসিলি উপজাতির মানুষ আছেন এবং যে-সব ব্লকে অন্তত ২০ হাজার সাধারণ উপজাতির মানুষ বসবাস করেন, সেখানেই ‘একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল’ গড়ে তোলা হবে। এই প্রকল্প সম্পূর্ণ করার সময়সীমা ধার্য হয়েছে ২০২২ সাল। ওই স্কুলগুলি হবে নবোদয় বিদ্যালয়ের মতোই। সেখানে স্থানীয় সংস্কৃতি আর শিল্পকলা সংরক্ষণেরও বন্দোবস্ত হবে। নানা ধরনের খেলা এবং নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া-সহ বিভিন্ন জেলায় একলব্য স্কুল রয়েছে।
গবেষণাতেও বিনিয়োগের জন্য ‘আরআইএসই’ নামে একটি প্রকল্প ঘোষণা করেছেন জেটলি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামো উন্নয়নে আগামী চার বছরে এক লক্ষ কোটি টাকা খরচ করা হবে। চালু করা হচ্ছে পরিকল্পনা এবং স্থাপত্যবিদ্যা সংক্রান্ত দু’টি শিক্ষা কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রী জানান, প্রতি বছর এক হাজার বিটেক পড়ুয়াকে চিহ্নিত করে আইআইটি এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সে গবেষণার জন্য প্রধানমন্ত্রী রিসার্চ ফেলোশিপ দেওয়া হবে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে গবেষণার সঙ্গে প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর উপরে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য ব্ল্যাক বোর্ড থেকে ডিজিটাল বোর্ডে পৌঁছে যাওয়া।’’ তবে শিক্ষা-মানের উন্নয়ন ঘটাতে হলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও যথাযথ ভাবে প্রশিক্ষিত হয়ে ওঠা প্রয়োজন বলে মনে করেন শিক্ষাবিদেরা। তাই প্রায় ১৩ লক্ষ প্রশিক্ষণহীন শিক্ষক-শিক্ষিকার জন্য ‘ইন্টিগ্রেটেড বিএড প্রোগ্রাম’ বা সুসংহত বিএড প্রকল্প চালু করছে কেন্দ্র।