মায়াবতী। ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার রাতে মায়াবতীর বাড়িতে বসে ডিনার করেছেন। আর শুক্রবার নিজের দলের বদলে বিজেপিকে ভোট দিলেন বহুজন সামাজ পার্টি (বিএসপি)-র বিধায়ক অনিল সিংহ। ভোট দেওয়ার পর তাঁর প্রকাশ্য ঘোষণা, ‘‘আমি মহারাজজি-র (যোগী আদিত্যনাথ) সঙ্গে রয়েছি।’’ অনিলের ক্রস ভোটিং-এ মায়াবতীর সমস্যা আরও বাড়ল বলেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা।
উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার ১০টি আসনে প্রা্র্থীর সংখ্য ১১। জয়ের জন্য প্রত্যেক প্রার্থীর ৩৭টি করে ভোট দরকার। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি-র বিধায়ক সংখ্যা ৩০০-র বেশি হওয়ায়, আট আসনে তাদের জয় মোটের উপর নিশ্চিত। সমাজবাদী পার্টি (এসপি) বিধাযকের সংখ্যা ৪৭। ফলে তাদের এক জন প্রার্থীর জয় নিয়েও সংশয় নেই। কিন্তু সমস্যা মায়াবতীর।
তাঁর দলে মাত্র ১৯ বিধায়ক। কিন্তু গোরক্ষপুর ও ফুলপুরে সমঝোতা করে জয়ের পর মায়াবতীর প্রার্থীকে যে কোনও উপায়ে জিতিয়ে আনতে চাইছেন অখিলেশ যাদব। এসপি-র বাকি ১০টি ভোট, কংগ্রেসের ৭টি এবং আরএলডি-র ১টি ভোট বিএসপি-তে পড়লে, সব মিলিয়ে বিএসপি প্রার্থী পেয়ে যাবেন ৩৭টি ভোট। অন্য দিকে বিজেপি তাদের ৮ প্রার্থীকে জেতানোর পর তাদের সমর্থিত নির্দল প্রার্থীর জন্য থাকছে ২৮টি ভোট। এর বাইরে আছেন তিন নির্দল বিধায়ক, যাঁদের ভোট বিজেপি-র দিকেই যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে উত্তরপ্রদেশ রাজনীতির বিশেষজ্ঞদের ধারণা। বিএসপি-র অনিল সিংহ বিজেপি-কে ভোট দিয়ে ফেলেছেন। এসপি-র এক বিধায়কও বিজেপি-কে ভোট দিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। আর দু’তিনটে ভোট এ দিক ও দিক হলেই বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী জিতে যেতে পারেন।
আরও পড়ুন: কংগ্রেসকে হারানোর জন্য টাকা নিয়েছিল অ্যানালিটিকা!
আরও পড়ুন: মমতার সঙ্গেও কথা চান রাহুল
জানা গিয়েছে, অনিল সিংহ বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন খবর পেয়ে রবিবার রাতেই তাঁকে নিজের বাসভবনে তলব করেছিলেন মায়াবতী। দু’জনে নৈশভোজও করেছিলেন এক সঙ্গে। কিন্তু আজ সকালে তাঁকে যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনে দেখা যায়। অনেকেই বলছেন, অনিলের ডিগবাজিতে মায়াবতী সমস্যা আরও বাড়ল।