আর অল্প একটু সময়ের অপেক্ষা। রাত পোহালেই স্পষ্ট হবে পাটলিপুত্র কার দখলে যাচ্ছে। অক্লান্ত পরিশ্রমে নির্বাচনী প্রচার আর ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ করে একটু দম নিচ্ছেন বিহারের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা। টানটান লড়াই শেষে একটু ঝিমিয়ে নেওয়ার মতো পালা। লালুর বোমায় বিহারের সেই ঝিমুনি লহমায় উধাও। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিহারের যাদব কুলপতি শনিবার ঘোষণা করলেন, মুছে যাবে বিজেপি। ১৯০ টি আসনের বিশাল গরিষ্ঠতা নিয়ে পটনার মসদন দখল করতে চলেছে মহাজোট।
বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম পর্বে বিহারে বিজেপিকেই এগিয়ে রেখেছিলেন বিশ্লেষকরা। কিন্তু তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণের দিন থেকেই মহাজোটের জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতে শুরু করে। পাঁচ দফা শেষে বুথফেরত সমীক্ষাতেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত মিলেছে। তবে অধিকাংশ সমীক্ষাই সামান্য হলেও এগিয়ে রেখেছে লালু-নীতীশ-কংগ্রেসের মহাজোটকে। বিজেপি অবশ্য সমীক্ষার প্রতিফলনকে প্রথম থেকেই নস্যাৎ করছে।
রবিবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু। গণনা কেন্দ্রে প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াই দেওয়ার প্রস্তুতি দুই শিবিরেই। তার আগে একটু দম নিয়ে নেওয়া। পোড় খাওয়া রাজনীতিক লালু কিন্তু জানেন, ঝিমিয়ে নেওয়ার সময় এখন নেই। উত্তেজনা ধরে রাখতে হবে। তাই আরজেডি দফতরে শনিবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে বার বার বললেন, হিসেব হয়ে গিয়েছে। ১৯০টি আসনে মহাজোটের জয় কেউ রুখতে পারবে না। বিহার দখল করেই বারাণসী আর কলকাতা যাবেন লালু। ঘোষণা করেছেন সাংবাদিক সম্মেলনে। তাঁর কটাক্ষ, প্রধানমন্ত্রীর নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র বারাণসীতে গিয়ে তিনি দেখে আসবেন, স্বচ্ছ ভারত অভিযান কেমন চলছে। তার পর কলকাতায় গিয়ে ব্রিগেডেও জনসভা করবেন বলে আরজেডি প্রধান এ দিন ঘোষণা করেছেন।
লালুর মন্তব্যে সহসা আবার চাঙ্গা পটনার রাজনীতির মেজাজ। বিজেপি তথা এনডিএ নেতারা বলছেন, রবিবার সকালে যখন মুখ পুড়বে, তখন সবাই বুঝবেন, লালু আসলে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছিলেন। আর আরজেডি তথা মহাজোটের কর্মীরা উজ্জীবিত। দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিহারের মসদনে ফের নীতিশ কুমারের ফের বসা এখন নিশ্চিত, বলছেন লালু অনুগামীরা।