Bribery

মাসিক কিস্তিতে ঘুষ! দিল্লি পুলিশের একাধিক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তদন্তে সিবিআই

কী ভাবে এই ঘুষ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলত? সিবিআই সূত্রে খবর, প্রথমে ঘুষের কিছু টাকা নেওয়া হয় ‘ডাউন পেমেন্ট’ প্রক্রিয়ায়। তার পর বাকি টাকা মাসিক কিস্তিতে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৪ ১২:০২
Share:

প্রতীকী ছবি।

ঘুষ নেওয়া হচ্ছে মাসিক কিস্তিতে? দিল্লি পুলিশের বেশ কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠতেই তদন্তে নেমেছে সিবিআই। কয়েক জন গ্রেফতারও হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। ইতিমধ্যেই এই মামলায় বেশ কয়েকটি এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।

Advertisement

কী ভাবে এই ঘুষ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলত? সিবিআই সূত্রে খবর, প্রথমে ঘুষের কিছু টাকা নেওয়া হয় ‘ডাউন পেমেন্ট’ প্রক্রিয়ায়। তার পর বাকি টাকা মাসিক কিস্তিতে। পূর্ব দিল্লির প্রতাপগঞ্জে সম্প্রতি একটি অভিযান চালায় সিবিআই। এক মহিলা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। অভিযোগ, ওই মহিলা ব্যবসায়ীকে ফোন চুরির মামলায় জড়িয়ে দিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন ওই দুই কনস্টেবল। শেষে সেই টাকা মাসিক কিস্তির ভিত্তিতে দেওয়ার বিষয়টি স্থির করে দেন অভিযুক্ত‌েরা।

সিবিআই সূত্রে খবর, মহিলার কাছ থেকে ‘ডাউন পেমেন্ট’ হিসাবে ১১ হাজার টাকা নেন অভিযুক্ত দুই কনস্টেবল। তার পর ঘুষের বাকি টাকা মাসিক কিস্তিতে নিচ্ছিলেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে, গত ২১ জুন একটি থানায় তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল তারা। সেখানে এক সাব-ইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির কাছে ৩ লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। যদিও আলোচনার ভিত্তিতে ২ লক্ষ টাকায় রফা হয়। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে মামলা চলছিল, সেই মামলায় যাতে তিনি গ্রেফতার না হন, তার নিরাপত্তার ‘মূল্য’ হিসাবে ২ লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। আরও একটি থানার সাব-ইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধে ২৫ লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগকারীর দাবি, তিনি প্রথমে ৫ লক্ষ টাকা দেন। বাকি টাকা মাসিক কিস্তিতে দেওয়ার জন্য বলেন ওই সাব-ইনস্পেক্টর। সিবিআইয়ের কাছেও অভিযোগ জমা পড়ে। ঘুষ নেওয়ার সময় সেই সাব-ইনস্পেক্টরকেও গ্রেফতার করে তারা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement