পি মুরলীধর রাও। ফাইল চিত্র।
ব্রাহ্মণ আর বানিয়াদের নিজের পকেটে রাখে বিজেপি— এমন মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন দলের সাধারণ সম্পাদক পি মুরলীধর রাও। কংগ্রেস দাবি করেছে, সমাজের এই অংশের মানুষের থেকে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে বিজেপিকে।
মধ্যপ্রদেশে দলের দায়িত্বে থাকা মুরলীধর রাও আজ একটি সাংবাদিক বৈঠকে এমন মন্তব্য করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন। তিনি জানান, বিজেপি ও মধ্যপ্রদেশ সরকার তফসিলি জাতি, জনজাতির উন্নতির দিকে বিশেষ নজর দিতে চাইছে। ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে না দেখে তাদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের উপর জোর দিতে চাইছে বিজেপি। এই সময়ে এক সাংবাদিক রাওকে প্রশ্ন করেন, বিজেপি সম্পর্কে মানুষের ধারণা, তারা ব্রাহ্মণ-বানিয়ার পার্টি। আর দল যখন ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর মতো স্লোগান দিচ্ছে, তখন তফসিলি জাতি, জনজাতিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে কেন?
জবাবে নিজের কুর্তার পকেট দেখিয়ে রাও বলেন, ‘‘ব্রাহ্মণ আর বানিয়ারা আমার পকেটে থাকে। আপনারা আমাদের দলকে ব্রাহ্মণ-বানিয়ার পার্টি বলে থাকেন। কারণ, আমাদের ভোটব্যাঙ্ক আর অধিকাংশ কর্মীই আসেন সমাজের এই অংশ থেকে।’’ বিজেপি নেতার যুক্তি, যদি একটি রাজনৈতিক দলে সমাজের কোনও একটি অংশের মানুষ বেশি আসেন, তখন তাদের দল হিসেবেই চিহ্নিত হতে হয়। তবে বিজেপির ক্ষেত্রে বাস্তবতা হল, তফসিলি জাতি ও জনজাতি মানুষের প্রতিনিধিত্ব কম থাকা। ফলে দল এখন এই অংশ থেকে বেশি প্রতিনিধিত্ব চাইছে। তেমন হলে সমাজের সবস্তরের দল হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকবে বিজেপির।
তবে ব্রাহ্মণ ও বানিয়াদের সম্পর্কে বিজেপি নেতার ছয় সেকেন্ডের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে থাকেন। কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ বিবৃতি দিয়ে বলেন, বিজেপি সবকা সাথ সবকা বিকাশের কথা বলছে। আর সেই দলেরই সাধারণ সম্পাদক মন্তব্য করছেন, ব্রাহ্মণ আর বানিয়ারা নাকি তাদের পকেটে রয়েছে। কমল নাথ বলেন, ‘‘মুরলীধর রাওয়ের মন্তব্য সমাজের এই শ্রেণির মানুষের প্রতি অপমান। কারণ, বিজেপি দাবি করছে, এঁরা যেন তাদের সম্পত্তি।’’ বিজেপিকে গড়ে তুলেছেন যাঁরা, তাঁদের প্রতি দল এখন কী সম্মান দিচ্ছে, সেই প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেতা। মুরলীধর অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছ। একটি ভিডিয়ো বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘সমাজের কোনও অংশকে বঞ্চিত করি না আমরা।’’