—প্রতীকী চিত্র।
গ্রামের যাত্রাপালায় মা কালী সেজেছিল ১৪ বছরের কিশোর। লাল টকটকে জিভ বার করে ‘খাঁড়া’ হাতে দুষ্ট নিধনের অভিনয়ে মেতে উঠেছিল সে। কিন্তু সেই পালাতেই নেমে এল বিপদ। ‘খাঁড়া’র ঘায়ে মৃত্যু হল ১১ বছরের বালকের।
ঘটনাটি কানপুরের বামভিয়াপুর গ্রামের। সেখানকার বাসিন্দা সুভাষ সাইনির পরিবারের তরফে যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়েছিল। তাঁদের বাড়ির দালানেই পালা অনুষ্ঠিত হয়। গত কয়েক দিন ধরে টানা অভিনয় চলছিল দালানে। প্রচুর মানুষ তা দেখতে জড়ো হচ্ছিলেন রোজই। ওই পালাতেই মা কালী সেজেছিল ১৪ বছরের কিশোর।
গ্রামবাসীরা জানান, ওই কিশোরকে মা কালীর অস্ত্র খাঁড়া হিসাবে ভোঁতা কোনও জিনিস ব্যবহার করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তেমন কিছু সে খুঁজে পায়নি। তাই নিজের বাড়ি থেকে ছুরি নিয়ে এসে কালী সেজেছিল সে। ধারালো সেই ছুরির আঘাতেই বালকের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত বালক যাত্রাপালায় অসুরের ভূমিকায় অভিনয় করছিল। আচমকা তার ঘাড়ে এসে পড়ে ছুরির কোপ। অভিনয় করতে গিয়েই ছুরি বালকের ঘাড়ে বসিয়ে দেয় কিশোর। সঙ্গে সঙ্গে ওই বালককে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। আয়োজক পরিবারের তরফেও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করেছে পুলিশ। ১৪ বছরের ওই অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করা হয়েছে। মৃতের দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। যাত্রাপালায় এমন দুর্ঘটনায় গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমেছে।