সাংবাদিক বৈঠকে ভিজি সোমানি। ছবি: টুইটার থেকে
জরুরি ভিত্তিতে জনসাধারণকে প্রয়োগের অনুমোদন পাওয়া দু’টি করোনা টিকাই পুরোপুরি নিরাপদ ও সুরক্ষিত। এই দাবি করলেন ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ভিজি সোমানি। তাঁর বক্তব্য়, দুই টিকাই ১১০ শতাংশ নিরাপদ। করোনা প্রতিরোধেও দুই টিকাই খুবই কার্যকরী, দাবি ডিসিজিআই-এর।
অক্সফোর্ডের তৈরি টিকা ‘কোভিশিল্ড’ ভারতে উৎপাদন করছে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট। অন্য দিকে হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিন’ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে। এই দুই টিকা জরুরি ভিত্তিতে সাধারণের উপর প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে ডিসিজিআই। শনিবার থেকে ট্রায়াল রানও শুরু হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
কিন্তু এই টিকা কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। কংগ্রেস নেতা শশী তারুরের টুইট, ‘কোভ্যাক্সিন এখনও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সম্পূর্ণ করেনি। তার পরেও তড়িঘড়ি অনুমোদন বিপজ্জনক। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পূর্ণ হওয়ার আগে এটা এড়িয়ে যাওয়া উচিত।’ তবে সোমানির দাবি, ‘‘নিরাপত্তা নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয় বা প্রশ্ন থাকলে আমরা অনুমোদন দিতাম না। কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন— দু’টিই ১১০ শতাংশ নিরাপদ।’’ একই সঙ্গে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, হালকা জ্বর, গা-হাত-পা ব্যথা, অ্যালার্জির মতো উপসর্গ যে কোনও টিকাতেই হতে পারে। তাই এ নিয়ে অযথা ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
আরও পড়ুন: কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দিল ডিসিজিআই
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকার কার্যকারিতা কেমন, সে বিষয়েও ব্য়াখ্যা করেছেন ডিসিজিআই। তিনি বলেন, ‘‘সিরামের কোভিশিল্ড ভারতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছে ১৬০০ জনের উপর। তার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, ৭০.৪২ শতাংশ কার্যকরী। অন্য দিকে ভারত বায়োটেকের টিকা কোভ্যাক্সিন প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করেছিলেন ৮০০ জন। তাঁদের শরীরে শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে। তৃতীয় পর্যায়ে ২৮ হাজার ৮০০ জনের মধ্যে ২২ হাজার ৫০০ জনকে টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। ফলে দু’টি টিকাই সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সুরক্ষিত।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে টিকা কত জনকে, নানা কথা হর্ষ বর্ধনের
অন্য দিকে দুই ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থা জানিয়েছে, উভয় টিকাই দু’টি করে ডোজ নিতে হবে। সংরক্ষণ করা যাবে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে এই দু’টি টিকাই যে শেষ, এমন নয়। অন্যান্য টিকাগুলির তথ্যও খুঁটিনাটি পরীক্ষার কাজ চলছে। আরও টিকার অনুমোদন ভবিষ্যতে দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত মন্ত্রকের।