বাবা সিদ্দিকি। —ফাইল ছবি।
আদালতে মিথ্যা দাবি করেও বয়স লুকোতে পারলেন না বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত। হাড়ের পরীক্ষাই জানিয়ে দিল ওই অভিযুক্তের আসল বয়স।
গত শনিবার রাতে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয় অজিত পওয়ারপন্থী এনসিপি গোষ্ঠীর নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে। এই খুনের ঘটনায় দুই আততায়ী এবং এক চক্রীকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। রবিবারই তাঁদের মুম্বইয়ের এসপ্ল্যানেড আদালতে পেশ করা হয়। কিন্তু বিভ্রান্তি দেখা যায় খুনে অভিযুক্ত এক আততায়ীর বয়স নিয়ে। এক জন দাবি করেন, তাঁর বয়স ১৭। কিন্তু সরকারি আইনজীবী অভিযুক্তের আধার নথি তুলে ধরে জানান, ওই তরুণের বয়স ১৯ বছর। এই পরিস্থিতিতে নিম্ন আদালতের বিচারক ওই অভিযুক্তের বয়স নির্ধারণের শারীরিক পরীক্ষা (অসিফিকেশন টেস্ট) করানোর নির্দেশ দেন।
অসিফিকেশন টেস্টের মাধ্যমে শরীরের হাড় কতটা পরিণত হয়েছে, তা জানতে পারেন চিকিৎসকেরা। এর থেকে এক জন ব্যক্তির বয়স নির্ধারণ করা যায়। সাধারণত এই পরীক্ষার জন্য হাত ও কব্জির হাড়ের এক্স রে করানো হয়। এই পরীক্ষার ফলাফল হাতে হাতে পাওয়ার পরে মুম্বই পুলিশ জানিয়ে দেয়, ওই অভিযুক্ত আদতে সাবালকই, অর্থাৎ তাঁর বয়স ১৮ কিংবা তার বেশি। রবিবারই এক অভিযুক্তকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। শারীরিক পরীক্ষায় বয়স নির্ধারণের পর দ্বিতীয় অভিযুক্তকেও ২১ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হল।
প্রসঙ্গত, লরেন্স বিশ্নোইয়ের দুষ্কৃতী দল এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে কি না, সেই নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে রবিবার দুপুর থেকে। নিজেকে কুখ্যাত দুষ্কৃতী দলের সদস্য বলে দাবি করে এই বিষয়ে একটি পোস্ট করেছেন এক সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী। সেই পোস্ট ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও ওই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। তদন্তে নেমে খুনের নেপথ্যে সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখছে মুম্বই পুলিশ। সমাজমাধ্যমের ওই পোস্টটিও নজরে এসেছে পুলিশের। তবে মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, ওই পোস্টটির সত্যতা যাচাই করার প্রক্রিয়া চলছে।
সোমবার মুম্বই পুলিশ জানায়, ধৃত তৃতীয় ব্যক্তি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা যুবকের ভাই। খুনের আগে দুই অভিযুক্ত পুণেয় ওই ব্যক্তির ডেরায় ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ দিকে সমাজমাধ্যমের পোস্ট ভাইরাল হতেই পলাতক অভিযুক্ত যুবক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।