ফাইল চিত্র।
এলগার পরিষদ মামলায় অভিযুক্ত আইনজীবী সুধা ভরদ্বাজকে গত বছরের ১ ডিসেম্বর জামিন দিয়েছিল বম্বে হাই কোর্ট। সেটি ছিল ‘ডিফল্ট বেল’, অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুলিশ তদন্ত শেষ করতে না পারলে এই ধরনের জামিনের আবেদন জানানো যায়। কিন্তু প্রবীণ কবি ও সমাজকর্মী ভারাভারা রাও-সহ এই মামলার আরও আট জন অভিযুক্তকে সে দিন জামিন দেয়নি আদালত। ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন ভারাভারা, অরুণ ফেরেরা এবং ভের্নন গঞ্জালভেস। কিন্তু হাই কোর্ট আজ সেটিও নাকচ করে দিয়েছে। বিচারপতি এস এস শিন্দে এবং বিচারপতি এন জে জমাদারের বেঞ্চ জানিয়েছে, আগের রায়ে কোনও ভুল ছিল বা তা পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন আছে বলে বিচারপতিরা মনে করছেন না।
ভারাভারা অবশ্য আপাতত স্বাস্থ্যের কারণে জামিনে মুক্ত। অন্য দুই সমাজকর্মী, অরুণ এবং ভের্নন জেলেই রয়েছেন। গত বছর বিচারপতি শিন্দের বেঞ্চ সুধা ভরদ্বাজকে জামিন দিয়ে বলেছিল, তিনি বাদে অন্য কোনও অভিযুক্তই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিম্ন আদালতে ডিফল্ট বেলের আবেদন জানাতে পারেননি। এর প্রেক্ষিতে ভারাভারা-অরুণরা তাঁদের দুই আইনজীবীর মাধ্যমে হাই কোর্টে যুক্তি দেন যে, বেঞ্চের আগের রায়টিতে পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে। কারণ, গত ৬ নভেম্বর নিম্ন আদালত একটি নির্দেশে তাঁরা-সহ আরও পাঁচ জনের পাশাপাশি সুধারও ডিফল্ট বেলের আর্জি বাতিল করে দিয়েছিল। কিন্তু সেই বিষয়টি হাই কোর্টের নজর এড়িয়ে গিয়েছে বলে আইনজীবীরা জানান। তাঁরা বলেন, নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে হাই কোর্ট সুধাকে জামিন দিলে একই যুক্তিতে বাকিদেরও জামিন পাওয়া উচিত।
জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) এই আর্জির বিরোধিতা করে বলে, রায় পুনর্বিবেচনার আড়ালে অভিযুক্তেরা আসলে ফের ডিফল্ট বেলের আবেদন পেশ করছেন, যা আইনের অপব্যবহার এবং আদতে ভাল দৃষ্টান্ত তৈরি করছে না। আদালত অবশ্য তাদের তরফে কোনও ভ্রান্তির যুক্তি মানেনি। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুণেতে এলগার পরিষদের সভায় উস্কানিমূলক বক্তৃতার জেরেই পরের দিন ভীমা-কোরেগাঁওয়ে সংঘর্ষে দু’জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে পুলিশের অভিযোগ।