১১ বছরের কন্যা ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। —প্রতীকী চিত্র।
যৌন নিগ্রহের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল ১১ বছরের কন্যা। সাত মাস গর্ভধারণের পর তাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছে বম্বে হাই কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারই ওই কন্যার গর্ভপাত হবে মুম্বইয়ের জেজে হাসপাতালে। তবে তার গর্ভস্থ ভ্রুণের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করতে বলেছে আদালত। যৌন হেনস্থার যে মামলা চলছে, তাতে কাজে লাগতে পারে ওই নমুনা। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে অপরাধীকে শনাক্ত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
নিগৃহীত বালিকার বাবা আদালতে গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে মামলা করেন। বম্বে হাই কোর্টে সেই মামলাটি শুনেছে বিচারপতি শর্মিলা দেশমুখ এবং জিতেন্দ্র জৈনের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলাকারী জানিয়েছেন, তাঁর কন্যা ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। ৩০ সপ্তাহের (সাত মাস দুই সপ্তাহ) অন্তঃসত্ত্বা সে। সেই ঘটনায় অপরিচিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগও তিনি দায়ের করেছেন। পুলিশ পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
সাধারণত গর্ভপাত আইন অনুসারে, ২০ সপ্তাহের বেশি গর্ভধারণের পর গর্ভপাত করতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হয়। বিশেষ ক্ষেত্রে একাধিক বিষয় বিবেচনা করে আদালত সেই অনুমতি দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, সংবিধান অনুযায়ী বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ২০ সপ্তাহের পরেও আদালত গর্ভপাতের অনুমতি দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে বালিকা যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছে। তাই তাকে অনুমতি দেওয়া হল। তবে দোষীকে শনাক্ত করার জন্য বালিকার গর্ভস্থ ভ্রুণের ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণ করে রাখতে হবে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতিরা।
গর্ভপাত যদি সম্ভব না হয়, বালিকার সন্তান যদি ভূমিষ্ঠ হয়, তবে তাকে লালনপালনের দায়িত্ব সরকারের, জানিয়েছে আদালত। অবশ্য, সন্তান জন্মালে বালিকা এবং তার পরিবার যদি সন্তানের দায়িত্ব নিতে চায়, সরকার তাতে বাধা দেবে না।