পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়ির সামনে বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের দিকে গুলি ছোঁড়ার অভিযোগ উঠল তাঁর দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে। আজ বিকেলে পটনার ঘটনা। খবর পেয়ে পুলিশের সঙ্গে সেখানে পৌঁছন জেলার এসএসপি মনু মহারাজ। ছাত্রদের অভিযোগ, লাঠিচার্জ করে তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।
বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন, উপাচার্যের বাড়ির সামনে তাঁরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলেন। কোনও প্ররোচনা ছাড়াই উপাচার্যের দেহরক্ষীরা গুলি চালান। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে, গুলিতে কেউ জখম হননি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, প্রায় ৯ মাস ধরে ছাত্রদের অবস্থান, বিক্ষোভ ও আন্দোলনের জেরে নিজের অফিসে যাচ্ছেন না পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওয়াই সি সিহমাদ্রি। ছাত্র-বিক্ষোভের কথা বলে গত জানুয়ারি রাজ্য সরকারের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। ক্যাম্পাস এবং শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ২৪টি ছাত্রাবাসে নিয়মিত হিংসা এবং গোলমালে প্রায়ই স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির শিরোনামে থাকে পটনা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু উপাচার্যের ওই দাবি ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। বামপন্থী ছাত্র সংগঠন আইসা এবং এআইএসএফের নেতৃত্বে সেখানে আন্দোলন চলে। তাতে সামিল রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের একাংশ। রাজ্য শিক্ষা দফতর বার বার দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি।
সম্প্রতি পটনা আর্ট কলেজের ৮ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে অনুশাসনহীনতার অভিযোগ ওঠায় অধ্যক্ষের অনুরোধে উপাচার্য তাঁদের বহিস্কার করেন। এর পরে দু’সপ্তাহ ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অনশন-অবস্থান শুরু করে ছাত্ররা। আজ কয়েকটি বাম ছাত্র সংগঠনের সমর্থকরা অনশন-অবস্থানের সমর্থনে হাজির হন। তার পরই কয়েক জন ছাত্র উপাচার্যের বাড়ির সামনে জড়ো হন। তাঁরা বাড়ির ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করতেই দেহরক্ষীরা বাধা দেন। অভিযোগ, তখনই ছাত্রদের দিকে গুলি ছোঁড়া হয়।
রাজ্য সরকারের তরফে এক এএসআই-সহ চার জন নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়েছে উপাচার্যকে। সরকারি ভাবে তাঁর এক দেহরক্ষী রয়েছেন। এ ছাড়াও বেসরকারি সংস্থা থেকে প্রায় ২০ জন ‘বাউন্সার’কে নিজের নিরাপত্তার জন্য রেখেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা উপাচার্য সিহমাদ্রি। এ দিন ছাত্ররা তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করতেই দেহরক্ষীদের সঙ্গে বিরোধ শুরু হয়।