বেআইনি অনুপ্রবেশ ও অন্যান্য অভিযোগ থেকে মুক্ত সালাউদ্দিন আহমেদ। —ফাইল চিত্র।
মেঘালয়ে আটক থাকা বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিএনপি-র অন্যতম শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিন আহমেদকে বেআইনি অনুপ্রবেশ ও অন্যান্য অভিযোগ থেকে মুক্তি দিল শিলং ফার্স্ট ক্লাস ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত। তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, সালাউদ্দিনকে দ্রুত বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে খালেদা জিয়ার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, যত শীঘ্র সম্ভব তিনি ঢাকায় ফিরতে চান।
শিলংয়ের গল্ফ লিঙ্ক রোডে ঘুরতে থাকা সালাউদ্দিনকে ২০১৫-র মে মাসে গ্রেফতার করে মেঘালয় পুলিশ। তাঁর দাবি ছিল, কিছু লোক পুলিশের পরিচয়পত্র দেখিয়ে ঢাকার উত্তরা থেকে সে বছর মার্চে তাঁকে অপহরণ করেছিল। নানা জায়গা ঘুরিয়ে পরে তাঁকে সীমান্তের এ পারে নামিয়ে দিয়ে যায়। সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে বিদেশি নাগরিক আইনের ১৪ নম্বর ধারায় চার্জ গঠন করেছিল আদালত। জামিনে মুক্তি পেলেও শিলং ছাড়ার অনুমতি পাননি অসুস্থ সালাউদ্দিন। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থাও শিলংয়েই করা হয়। দুই দফায় রায়দান পিছোনোর পরে আজ সালাউদ্দিনকে বেকসুর মুক্তি দেয় আদালত।
কিন্তু ঢাকা থেকে গুম হওয়া সালাউদ্দিন কী ভাবে শিলং পৌঁছলেন, তা রহস্যই থেকে গেল। গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার শাহ মহম্মদ তনভির মনসুর জানান, মেঘালয় সরকার বিষয়টি তাঁকে সরকারি ভাবে জানালে তিনি যা করণীয় করবেন।