ছবি: পিটিআই।
আরও শক্তিশালী হয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর পর সংসদের প্রথম অধিবেশনেই তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিল পাশ করাতে তৎপর হল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। নতুন সরকারের তিন মন্ত্রী আজ সনিয়া গাঁধীর দ্বারস্থও হন।
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী, তাঁর পূর্বসূরি নরেন্দ্র সিংহ তোমর ও প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল আজ ১০ জনপথে গিয়ে ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। পরে প্রহ্লাদ বলেন, ‘‘সংসদ মসৃণ ভাবে চালানোর জন্য কংগ্রেসের সহযোগিতা চেয়েছি। সনিয়া গাঁধীও সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন।’’ ক’দিন আগেই কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন তাঁরা। সরকারের একটি সূত্রের মতে, প্রথম অধিবেশনে দশটির মতো অধ্যাদেশকে বিলে পরিণত করার চেষ্টা হবে। তার মধ্যে তিন তালাক বিলটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। বিলটি লোকসভায় পাশ হলেও রাজ্যসভায় গণ্ডি পেরোয়নি।
রাজ্যসভাতে এখনও শাসক দল সংখ্যালঘু। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভির বক্তব্য, ‘‘কোনও ইসলামিক আইনে তাৎক্ষণিক তিন তালাকেরও উল্লেখ নেই। ফলে বিরোধীদের বিলটি পাশ করানো উচিত।’’ কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা ওই বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি তুলেছে। সংসদীয় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেঘওয়ালও বলেন, ‘‘সরকার ইতিমধ্যেই সংশোধন করেছে। এটি মহিলাদের ক্ষমতায়নের বিষয়।’’ বিজেপি সূত্রের দাবি, লোকসভা ভোটে উন্নয়নের মাধ্যমে জাতপাতের সমীকরণ অনেকটাই মুছে ফেলা সম্ভব হয়েছে। এ বার একই ভাবে সংখ্যালঘুদের মন জয়েরও চেষ্টা হবে। ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘুদের ভোট পেয়েছে বিজেপি। সেই ধারাকেই এ বার এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হবে। সংখ্যার কারণে বিরোধীদের বিরোধিতার ধারও কম হবে। এই সুযোগে বিল পাশেরও চেষ্টা হবে।