বিধায়ক-সংখ্যা মাত্র এক। কিন্তু কর্নাটকে সংখ্যার খেলায় মায়াবতীর ভূমিকা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হল। রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, জেডি (এস) প্রধান দেবগৌড়া এবং কংগ্রেসের যৌথ ভাবে সরকার গড়ার দাবির পিছনে মায়াবতীর ভূমিকা রয়েছে। তিনি এক দিকে যেমন দেবগৌড়ার সঙ্গে কথা বলেছেন, তেমনই সনিয়া গাঁধীর সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন।
কর্নাটকে প্রচারের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক বিএসপি নেতার কথায়, ‘‘আমরা বিজেপি এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোটে লড়াই করলেও এখন সাম্প্রদায়িক শক্তিকে হটানোটাই বড় কথা। যদি বিজেপি-বিরোধী সরকার গঠন না করতে পারি, তাহলে সমর্থকদের কাছে ভুল বার্তা যাবে।’’
কর্নাটকে তুল্যমূল্য লড়াইয়ে একজন বিধায়কের সমর্থনেরও যে দাম রয়েছে, তা জানেন মায়াবতী। তেমন পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতৃত্ব তাঁর কাছে পরোক্ষ সমর্থনের জন্য হাত বাড়াতে পারে বলে খবর। বিরোধী শিবিরের আশঙ্কা, ওই বিধায়ককে ‘প্রভাবিত’ করতে পারে বিজেপি। সে-ক্ষেত্রে বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষার সময় যদি বিএসপি বিধায়কটি কক্ষত্যাগও করেন, (বিজেপি বিরোধী স্লোগান দিয়েই!) তা হলেও সংখ্যা কমে যাবে জেডি (এস) জোটের।
তবে এখনও মায়াবতী শিবির বিজেপি-বিরোধিতার প্রশ্নেই অটল রয়েছে বলে দাবি দলীয় নেতৃত্বের। কর্নাটকের পর মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ় বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবেন মায়াবতী। হাত মেলাতে পারেন কংগ্রেসের সঙ্গে। তার আগে নিজের রাজ্যের দু’টি উপনির্বাচনে আরএলডি এবং এসপি প্রার্থীর হয়ে মোদীর বিরুদ্ধে লড়াই করবে তাঁর দল।
এক বিএসপি নেতার কথায়, ‘‘মোদীর বিরুদ্ধে দেশে যে জনমত তৈরি হচ্ছে, ২০১৯-এ তাকে কাজে লাগানোই লক্ষ্য। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপি-কে উৎখাত করার জন্য শীঘ্রই বৈঠকে বসবেন মায়াবতী-মুলায়ম। এই মুহূর্তে কোনও রাজ্যেই সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে সমঝোতা করবে না দল।’’