প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ধাক্কা খাওয়া ভাবমূর্তি’ মেরামতে সক্রিয় হচ্ছে বিজেপি। ছবি: সংগৃহীত।
কর্নাটকে ভোটে বিজেপির ভরাডুবির দায় থেকে ইতিমধ্যেই তাঁকে মুক্তি দিয়েছে দল। সব দোষ চাপানো হয়েছে, বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই, রাজ্য বিজেপির সভাপতি নলিনকুমার কাতিল, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পাদের ঘাড়ে। দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ধাক্কা খাওয়া ভাবমূর্তি’ মেরামতে সক্রিয় হচ্ছে বিজেপি। আর তার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে মোদী সরকারের নবম বর্ষপূর্তিকে।
আগামী ৩০ মে মোদী সরকারের নবম বর্ষপূর্তিতে (২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন মোদী) কেন্দ্রের ‘সাফল্য’ প্রচারের জন্য দেশ জুড়ে প্রচারসভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত, অর্থাৎ পরবর্তী এক মাস ধরে চলবে নিরবচ্ছিন্ন প্রচার কর্মসূচি। দেশ জুড়ে ৩৯৬টি লোকসভা আসনে জনসভায় অংশ নেবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির জাতীয় স্তরের নেতারা। মোদী সরকারের ন’বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে জনসভা ৩০ মে প্রধানমন্ত্রী মোদী স্বয়ং তাঁর সরকারের বর্ষপূর্তিতে প্রচার কর্মসূচির সূচনা করবে। এই দিন একটি সমাবেশে যোগ দেবেন তিনি। পরের দিনও প্রচার কর্মসূচি রয়েছে তাঁর।
বিজেপি সূত্রের খবর, মোদী সরকারের ন’বরত পূর্তি উৎসব আয়োজনের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে বিধানসভা ভোট হতে যাওয়া পাঁচ রাজ্য— রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং মিজোরামে। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি ক্ষমতায়। ছত্তীসগঢ় এবং রাজস্থানে তারা প্রধান বিরোধী দল। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের হিসাবে বিআরএস-এস শাসিত তেলঙ্গানাতেও বিজেপি অন্যতম প্রধান বিরোধীপক্ষ। ২০১৮-র বিধানসভায় সবকটিতেই হেরেছিল বিজেপি। কংগ্রেসের বিধায়ক ভাঙিয়ে ২০২০ সালে ক্ষমতা দখল করে তারা।