শিবপাল যাদব।
‘নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার পর এ বার সমাজবাদী পার্টির দুর্গে কিছুটা হলেও ফাটল ধরানোর লক্ষ্যে মাঠে নামছেন মুলায়ম সিংহ যাদবের ভাই শিবপাল যাদব। আর এই কাজে সব রকম ভাবে তাঁর পাশে রয়েছে বিজেপি।
রাজনৈতিক সূত্রের খবর, পাল্টা রণকৌশল তৈরি করছেন অখিলেশ সিংহ যাদবও। কিছু আসনে শিবপালকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিয়ে বিজেপির ছক ভেস্তে দিতে চান মুলায়ম-পুত্র। কারণ, শিবপাল আর যা-ই হোন, অমর সিংহ নন। তাঁর নিজস্ব জনভিত্তি রয়েছে। উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনী রাজনীতি সম্পর্কেও প্রত্যক্ষ জ্ঞান রয়েছে তাঁর। ২০০৩ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত তিনি ছিলেন কার্যত মুলায়ম সিংহ সরকারের দু’নম্বর ব্যক্তি।
খুব বেশি না হলেও সমাজবাদী পার্টিতে শিবপালের অনুগামী একটি অংশ রয়েছে। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, আগামী কয়েক মাসে শিবপাল চেষ্টা করবেন বেশ কিছু অখিলেশপন্থী নেতাকে ভাঙিয়ে নিজের শিবিরে নিয়ে আসার। ইতিমধ্যেই মুলায়মের আর এক পুত্রবধূ অপর্ণা যাদব, দলের সংগঠক নেতা শাক্য এবং চার বারের বিধায়ক শুকদেবী বর্মা যোগ দিয়েছেন শিবপালের সঙ্গে। সমাজবাদী পার্টির সহায়ক সংগঠন শ্রীকৃষ্ণ বাহিনীকে সক্রিয় করার চেষ্টা করছেন শিবপাল।
শিবপাল প্রার্থী দিতে পারেন আগরা, এটাওয়া, মৈনপুরী, ফিরোজাবাদ, কনৌজ, এটা-র মতো আসনগুলিতে। যাদব বলয়ের এই অংশে তাঁর প্রভাব রয়েছে। নিজে দাঁড়াতে পারেন ফিরোজাবাদ বা ফারুখাবাদ থেকে। কনৌজ থেকে নিজে দাঁড়াবেন অখিলেশ। কিছু আসনে শিবপালকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বিজেপির ভোট কাটাকুটির অঙ্ক ঘেঁটে দিতে পারেন বলে সমাজবাদী পার্টি সূত্রের খবর। ফলে শিবপালকে ব্যবহার করে অখিলেশের দলকে ধাক্কা দেওয়ার কাজে বিজেপি শেষ পর্যন্ত কতটা সফল হবে, তা অবশ্য স্পষ্ট নয় এখনও। তবে বিজেপি এর আগে পশ্চিমবঙ্গেও এই একই কাজ করার চেষ্টা করেছে মুকুল রায়কে দিয়ে। ছত্তীসগঢ়েও অজিত জোগীকে কাজে লাগানো হয়েছে কংগ্রেসের ভোট কাটার জন্য। লরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের দল একই চেষ্টা চালাচ্ছে মায়াবতীকে দিয়েও।