(বাঁ দিক থেকে) বিজেপির একটি বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী, জেপি নড্ডা এবং অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
চার রাজ্যে ভোটের আগে দলের রণকৌশল ঠিক করতে বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রবিবার হায়দরাবাদ শহরের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা। বিজেপি সূত্রে খবর, ১১টি রাজ্যের বিজেপি সভাপতি বৈঠকে যোগ দেবেন।
চলতি বছরের শেষেই মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা এবং রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। এ ছাড়াও এই বছরই নির্বাচন হওয়ার কথা উত্তর-পূর্বের রাজ্য মিজোরামে। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে দলীয় নেতৃত্বকে ঢেলে সাজাতে চাইছে পদ্ম শিবির। এ ক্ষেত্রে কর্নাটকের সাম্প্রতিক ফলাফলকেও মাথায় রাখতে চাইছে তারা।
রাজ্যগুলির মধ্যে মধ্যপ্রদেশ বাদে বাকি সব রাজ্যেই ক্ষমতায় রয়েছে বিরোধী দলগুলি। মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা ধরে রাখার পাশাপাশি রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ে ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী বিজেপি। তেলঙ্গানাতেও প্রথম বারের জন্য ক্ষমতায় আসার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে তারা। বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে, তেলঙ্গানা জয় করতে পারলে ‘দক্ষিণ ভারতের দরজা’ খুলে যাবে তাদের জন্য। কর্নাটকে গদিচ্যুত হওয়ার পর দক্ষিণের আর কোনও রাজ্যেই ক্ষমতায় নেই বিজেপি।
তেলঙ্গানায় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল চিন্তায় রেখেছিল বিজেপিকে। সম্প্রতি সে রাজ্যের সভাপতি বদল করা হয়েছে। ‘বিতর্কিত’ সভাপতি বান্দি সঞ্জয়কে সরিয়ে ওই পদে আনা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিসান রেড্ডিকে। মনে করা হচ্ছে, বিধানসভা ভোট এবং লোকসভা ভোটের আগে বৃহত্তর কৌশলের কথা মাথায় রেখেই এই রদবদল করেছে বিজেপি। অন্য দিকে, লোকসভা ভোটের আগে শেষ বারের জন্য মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বিজেপি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই নড্ডা বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন। ২০ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই এই রদবদলের কথা ঘোষণা করা হতে পারে।