পশ্চিমবঙ্গে যে শব্দটাকে সামনে রেখে ২০১১ সালে বাংলার পালাবদলের যাত্রায় সওয়ার হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিহারে নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়ার জন্য ঠিক সেই শব্দটাই আঁকড়ে ধরে চাইল বিজেপি। পরিবর্তন। বৃহস্পতিবার পটনায় ‘পরিবর্তন রথে’র সূচনা করে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ভোটের ঢাকে প্রথম কাঠিটা ছোঁয়ালেন। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে-টা পেরেছিলেন বিহারে বিজেপি তা পারবে কি না সেটা ভবিষ্যতই বলবে। তবে এ দিন তার আনুষ্ঠানিক সূচনা পর্বটা বেশ ধুমধাম করেই করল সুশীল মোদীর দল।
এ দিন পটনার গাঁধী ময়দান থেকে ১৬০ টি ‘রথে’র সূচনা হল। হাজির ছিলেন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ-সহ একাধিক নেতা-মন্ত্রীরা। এ দিন থেকেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সরকারি ভাবে প্রচার শুরু হল বিহারে। এই রথে চড়ে রাজ্যের ৩৮টি জেলায় দিনরাত প্রচার শুরু করলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। প্রচারের মূল প্রসঙ্গ লালুর ‘জঙ্গলরাজ’ এবং নীতীশ-জমানার ‘অচলাবস্থা’। এ দিন থেকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও নেতা-মন্ত্রীদের ছবি-সহ প্রচার শুরু করা হয়েছে। তবে সেই প্রচারে বিজেপির অন্যান্য নেতা মন্ত্রীদের ছবি ছাপা হলেও একমাত্র দেওয়া হয়নি বিজেপির সংখ্যালঘু মন্ত্রী শাহনওয়াজ হুসেনের ছবি। এ দিন আনুষ্ঠানিক সূচনাতেও তাঁকে দেখা যায়নি। ২০১৩ সালে পটনার এই গাঁধী ময়দানে দাঁড়িয়েই ‘হুঙ্কার সভা’ করেছিলেন মোদী।
তবে শুধু বিজেপিই নয়। প্রচারে ভোট ছিনিয়ে নিতে উঠে পড়ে লেগেছে সব দলই। এনডিএ-র তরফে শুরু হতে চলেছে ‘সম্পর্ক যাত্রা’। ২৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে একটি করে বড় সভা করবেন কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা। এর মধ্যেই মাঠে নামছেন লালুও। মুজফ্ফরপুরে মোদীর সভার পর দিনই অর্থাৎ ২৬ জুলাই পটনায় বাবাসাহেব অম্বেডকরের মূর্তির নীচে, এক দিনের অনশন-অবস্থান করবেন তিনি। পরের দিন বিহার বন্ধের ডাকও দিয়েছেন লালু।