ভোট টানতে পথে নামবে বিজেপি

ভোট-বাক্সের দিকে তাকিয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে গুরুত্ব দিতে দু’টি কমিটি গঠন করল বিজেপি। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেই শেষ হল দলের চিন্তন বৈঠক। দলীয় সূত্রে খবর, দু’টি কমিটির সদস্য সংখ্যা ৬। একটি কমিটি আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করবে। অন্যটি কেন্দ্রীয় ও রাজ্যস্তরের নেতৃত্বের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমণ্বয় করবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৫ ০৩:১৫
Share:

ভোট-বাক্সের দিকে তাকিয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে গুরুত্ব দিতে দু’টি কমিটি গঠন করল বিজেপি। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেই শেষ হল দলের চিন্তন বৈঠক। দলীয় সূত্রে খবর, দু’টি কমিটির সদস্য সংখ্যা ৬। একটি কমিটি আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করবে। অন্যটি কেন্দ্রীয় ও রাজ্যস্তরের নেতৃত্বের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমণ্বয় করবে। কমিটিগুলিতে রয়েছেন— শিলচরের বিধায়ক দিলীপ পাল, প্রাক্তন বিধায়ক পরিমল শুক্লবৈদ্য ও সৈকত দত্ত চৌধুরী, শিপ্রা গুণ, রাজদীপ রায়, ধ্রুবেন্দু ভট্টাচার্য।

Advertisement

২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে অসমে খারাপ ফলের দিকে তাকিয়ে আগামী ভোটের আগে ঘর গোছাতে চায় বিজেপি। তাই বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জে দু’দিনের চিন্তন বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। করিমগঞ্জ শহরের একটি অতিথি নিবাসে ওই বৈঠক হয়। দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক রামলাল, কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, প্রদেশ বিজেপি সভাপতি সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য, সাংসদ রমেন ডেকা ছাড়াও দলের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বিজেপির রুদ্ধদ্বার চিন্তন বৈঠকে বরাক উপত্যকার পাশাপাশি ডিমা হাসাও জেলার দলীয় সংগঠনকে আরও দ্রুতগতিতে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সকলে একজোট হয়ে কাজ করার পাশাপাশি এক কর্মী যাতে অপর কর্মীকে দোষারোপ না করেন সে বিষয়ে নজর রাখতে বলা হয়। চিন্তন বৈঠকে হাইলাকান্দি জেলার কাটলিছড়া আসন কংগ্রেসের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা করা হয়।

হাইলাকান্দির কাটলিছড়া আসনে পঞ্চম বার বিজয়ী হয়েছেন গৌতম রায়। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে সেই আসনেই এআইইউডিএফ, বিজেপি প্রার্থীর চেয়ে পিছনে ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী। ওই কেন্দ্রে এআইইউডিএফ পেয়েছিল ৪৩ হাজার ৬৫২টি ভোট, বিজেপি ৩২ হাজার ৬২৫ এবং কংগ্রেস ৩১ হাজার ৮৪৪টি ভোট পেয়েছিল। নির্বাচনের ফলাফলের পরই কংগ্রেস সদস্যদের অনেকে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। বর্তমানে কাটলিছড়ার বিধায়ক গৌতম রায়ের সঙ্গে তাঁর ছেলে তথা আলগাপুরের প্রাক্তন বিধায়ক রাহুল রায়ের মধ্যে সংঘাত বেঁধেছে। কাটলিছড়া ভোটে লড়াই করার কথা ঘোষণা করেছেন রাহুল। বিজেপির নেতাদের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের ১০-১৫ হাজার ভোট বিজেপির পালে নিয়ে যাওয়া মোটেও অসম্ভব নয়। সংগঠনের নেতৃত্ব ওই আসন নিয়ে চিন্তাভাবনা করলে মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা গৌতম রায়ের কাছ থেকে কাটলিছড়া আসনটি ছিনিয়ে নেওয়া যাবে। চিন্তন বৈঠকে নবগঠিত কমিটির সদস্যদের এখন থেকেই প্রচার শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রদেশ বিজেপি সভাপতি সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য পরে জানান, অসমে এআইইউডিএফ-এর উত্থান কখনও চিরস্থায়ী হতে পারে না। বৈঠকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নিয়ে প্রাথমিক স্তরে আলোচনা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement