শশী তারুর। ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে বিজেপি জিতলে এ দেশ ‘হিন্দু পাকিস্তানে’ পরিণত হবে— কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরের এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হল। শশী, এমনকি রাহুল গাঁধীকেও ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তুলেছে বিজেপি। তবে বেফাঁস কথা বলার জন্য বৃহস্পতিবার তারুরকে সতর্ক করেছে কংগ্রেস।
শশীর মন্তব্যে এখন বিজেপি হইচই শুরু করলেও ‘হিন্দু পাকিস্তান’ শব্দের প্রয়োগ কিন্তু নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের জমানাতেও এই প্রথম নয়। খাস সংসদের রেকর্ডেই তার উল্লেখ আছে! সংসদের দুই কক্ষ মিলে গত বছর ৯ অগস্ট ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের ৭৫ বছর পূর্তি যখন স্মরণ করেছিল, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক এবং তৎকালীন রাজ্যসভার সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরি সেখানে বলেছিলেন, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ভারতকে রক্ষা করা এবং তাকে ‘হিন্দু পাকিস্তান’ হতে না দেওয়ার লক্ষ্যেই এগোতে হবে। হইচই হলেও ইয়েচুরি বক্তৃতা শেষ করেছিলেন এবং সংসদের নথি থেকেও ওই শব্দ বাদ দেওয়া হয়নি। কলকাতায় বৃহস্পতিবার যে কারণে ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘তারুর আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেন, তাঁর কথা দ্রুত ছড়িয়ে যায়। কিন্তু গত বছর সংসদের ভিতরেই আমি বলেছিলাম, এ দেশে যা ঘটছে, তার প্রেক্ষিতে ‘হিন্দু পাকিস্তান’ হতে দেওয়া যাবে না।’’
তিরুঅনন্তপুরমে বুধবার তারুর বলেছিলেন, ২০১৯-এর ভোটে বিজেপি জিতলে সংবিধান বদলে দেবে। সংখ্যালঘুদের অধিকার থাকবে না। তৈরি হবে ‘হিন্দু পাকিস্তান’। কংগ্রেস এ দিন অবশ্য বলেছে, ভারতকে ধর্মীয় রাষ্ট্রে পরিণত করার শক্তি কোনও দলের নেই।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের বক্তব্য, দেশের সংসদ যে আশঙ্কা প্রকাশকে নথি থেকে বাদ দেওয়ার মতো ‘বিতর্কিত’ বলে মনে করেনি, তা নিয়ে এখন এত হইচই কেন? তাঁদের মতে, বিজেপির হইচইয়ের জেরে সংখ্যাগুরুর ভাবাবেগ নিয়ে চিন্তিত হয়েই কংগ্রেস তড়িঘড়ি তারুরকে সতর্ক করেছে।