অরুণ যাদব। ফাইল চিত্র।
বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ উঠতেই বিজেপি তড়িঘড়ি পদ থেকে সরালে তাদের এক আইটি সেল প্রধানকে। এর আগে দলের নিলম্বিত (সাসপেন্ডেড) মুখপাত্র নূপুর শর্মার ঘটনায় দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চাপের মুখে পড়েছিল ভারতের বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার। হরিয়ানার বিজেপির ওই আইটি সেলের প্রধানের বিরুদ্ধেও নূপুরের মতোই একই সুরে ধর্মীয় আক্রমণের অভিযোগ রয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নূপুরের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আর এ ব্যাপারে ঝুঁকি নিতে চায়নি বিজেপি নেতৃত্ব।
হরিয়ানা বিজেপির ওই আইটি সেল প্রধানের নাম অরুণ যাদব। তাঁর যে মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক সেটি তিনি ২০১৭ সালে একটি টুইটে লিখেছিলেন। তখনও অবশ্য কেন্দ্রে শাসক বিজেপিই। তবে অরুণ তখন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান কি না, তা স্পষ্ট নয়। অনেকটা নূপুরের সুরেই করা অরুণের ওই টুইট নিয়ে সম্প্রতি বিরোধীরা অরুণকে গ্রেফতারের দাবি তোলে। বিশেষ করে নূপুরের কু-মন্তব্যকে প্রকাশ্যে আনা অল্ট নিউজের সহ প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবেইরেকে চার বছরের একটি পুরনো টুইটের প্রসঙ্গে গ্রেফতার করায় বিরোধীরা প্রশ্ন তোলে তা হলে অরুণকে কেন গ্রেফতার করা হবে না?
এ ব্যাপারে #অ্যারেস্টঅরুণযাদব হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইটারে প্রচার শুরু হয়। অরুণের গ্রেফতারির দাবিতে ৫০ হাজার টুইট করা হয়েছে ওই হ্যাশট্যাগে।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাতেই হরিয়ানার বিজেপি নেতৃত্ব একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়ে দেয়, ‘বিজেপির প্রদেশ সভাপতি ওমপ্রকাশ ধনখড় সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে হরিয়ানা বিজেপির প্রদেশ আইটি সেলের প্রধানকে অবিলম্বে সমস্ত দায়িত্ব থেকে মুক্ত করছেন।’
উল্লেখ্য, গত মাসেই বিজেপি আন্তর্জাতিক তীব্র সমালোচনার চাপের মুখে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরাতে বাধ্য হয় দলের তৎকালীন মুখপাত্র নূপুর এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শিল্পপতি নবীন জিন্দলকে।