নীতীশ কুমারের পরে এ বার শরদ পওয়ারকে এনডিএ-র শরিক করতে মরিয়া বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে শিবসেনা বিজেপিকে পরিত্যাগ করে ‘একলা চলো রে’ নীতি নেবে বলেই আশঙ্কা বিজেপি শিবিরে। এমন একটা পরিস্থিতিতেই মহারাষ্ট্রে অরাজনৈতিক মরাঠা কোটার আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে শরদ পওয়ারকে পেলে বিজেপির বড় লাভ হবে— এমনটাই মনে করছেন মোদী-অমিত।
কয়েক দিন আগে দিল্লিতে শরদের ৫০তম বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত নৈশভোজে তাঁর বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কার্যত সমগ্র মন্ত্রিসভাই হাজির ছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদীও নিজে পওয়ারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখেন। এমনকী রাজ্যসভায় আহমেদ পটেলের নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে দু’টির মধ্যে অন্তত একটি ভোট এনসিপি দিয়েছে বলে প্রচার হয়েছে। এই অবিশ্বাসে ক্ষোভ প্রকাশ করে সনিয়া গাঁধীর ডাকা বিরোধী বৈঠকও বয়কট করেছে এনসিপি। বিজেপি প্রস্তাব দিয়েছে, পওয়ার-কন্যা সুপ্রিয়া সুলেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আসন্ন সম্প্রসারণে মন্ত্রী করা হবে। শুধু সুপ্রিয়া নয়, এনসিপি-র আর এক নেতা প্রফুল্ল পটেলও নিজে মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে আগ্রহী। কিন্তু সুপ্রিয়া এবং প্রফুল্লের সম্পর্ক অহি-নকুল। শরদের ভাই অজিত পওয়ারের সঙ্গেও সুপ্রিয়ার বিরোধ তীব্র। তাই মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে এখনও সক্রিয় অজিত আপাতত প্রফুল্লকে সমর্থন করছেন।
আরও পড়ুন:নীতীশের কোপে পদ গেল শরদের
মহারাষ্ট্রে অ-মরাঠা মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি এখন বুঝতে পারছে যে, রাজ্য রাজনীতিতে তাতে সমস্যা বেড়েছে। শিবসেনাও মরাঠা জনসমাজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। তাতে পৃথ্বীরাজ চহ্বাণের মতো মরাঠা নেতার নেতৃত্বে কংগ্রেস আবার সমর্থন বাড়াচ্ছে। এই অবস্থায় বিজেপি মনে করছে, শরদ পওয়ারকে সঙ্গে পেলে মরাঠা সমর্থন আবার তারা পেতে পারে। মহারাষ্ট্রে সরকার টিকিয়ে রাখাও তখন সহজ হবে শিবসেনা ছাড়াই।
তবে পওয়ারের সঙ্গে দাউদের সম্পর্ক এবং শরদের জামাই ও অন্যান্য কিছু দুর্নীতি নিয়ে বিজেপি পওয়ারের সঙ্গে রাজনৈতিক দর কষাকষি করার চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পওয়ার বিজেপি-র টোপ গিলবেন কিনা বোঝা যাচ্ছে না। কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ জানিয়েছেন, তিনি পওয়ারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। প্রমোদ মহাজনের সময় থেকেই বিজেপি পওয়ারকে দলে টানতে সক্রিয় ছিল। তখন সেই চেষ্টা সফল হয়নি। এ বার পওয়ার রাজি হন কিনা সেটাই দেখার।