নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
তিন দশক পরে দিল্লি বিধানসভা দখল করল বিজেপি। সূত্রের খবর, এ বার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান তাই একটু বড়সড় করেই করতে চাইছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমেরিকা সফর থেকে ফেরার পরে। ১২ এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি আমেরিকায় সফর রয়েছে প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির ওই সূত্রের দাবি, ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে তাই দিল্লিতে সম্ভবত শপথ নিচ্ছেন না নতুন মুখ্যমন্ত্রী।
গত ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এক মাসের মধ্যেই আমেরিকায় সরকারি সফরে যাচ্ছেন মোদী। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক করার কথা। তার পরে মোদী দিল্লি ফিরে এলে সম্ভবত আয়োজন করা হবে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। এমনটাই বলছে বিজেপির একটি সূত্র। ওই সূত্রের দাবি, বাকি রাজ্যের মতো দিল্লিতেও বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারের নেতৃত্বে ছিলেন মোদী। দিল্লি বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে হারানো প্রবেশ বর্মাও জয়ের কৃতিত্ব দিয়েছেন মোদীকেই। তাই তাঁর অনুপস্থিতিতে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা স্বাভাবিক ভাবেই ভাবছে না দল।
বিজেপির ওই সূত্রের দাবি, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পাশাপাশি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী-সহ এনডিএর শীর্ষনেতারা উপস্থিত থাকতে পারেন। ১৯৯৮ সাল থেকে দিল্লি বিধানসভা আর দখল করতে পারেনি বিজেপি। এ বার সেই বিধানসভা দখল করার পরে ঘটা করেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করতে চাইছে তারা। এমনটাই কানাঘুষো দলের অন্দরে। যদিও পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে জল্পনা এখনও চলছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেজরীকে হারিয়ে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে প্রবেশ সিংহ বর্মাই কি এগিয়ে? না কি বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের মাথায় রয়েছে অন্য কোনও সমীকরণ? সূত্রের খবর, সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দিল্লি বিজেপির অন্দরে প্রবেশ-সহ পাঁচ জনের নাম ঘুরছে। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, শেষ পর্যন্ত এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদীই।