নিজেকে রামের বংশধর বলে দাবি বিজেপি সাংসদের। ফাইল চিত্র।
তিনি নাকি রামের বংশধর। সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে অযোধ্যা মামলার শুনানি চলছে। তার মধ্যেই এমন দাবি করে বসলেন রাজস্থানের রাজসামন্দের বিজেপি সাংসদ তথা জয়পুর রাজ পরিবারের সদস্য দিয়া কুমারী। এই দাবির স্বপক্ষে তাঁর কাছে প্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
রবিবার, রাজসামন্দের সাংসদ বলেন, ‘‘আদালত জানতে চাইছে রামের বংশধররা কোথায়? রামের বংশধররা গোটা পৃথিবী জুড়েই ছড়িয়ে রয়েছেন। আমার পরিবার রামের পুত্র কুশের বংশধর। আমার বাবা রামের ৩০৯তম উত্তরসূরি। আমরা কুশওয়াহা বা কাচ্ছুয়া গোষ্ঠীর বংশধর।’’ এর স্বপক্ষে তাঁর হাতে প্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। আরও একধাপ এগিয়ে ওই বিজেপি সাংসদ বলেন, “যদি সুপ্রিম কোর্ট চায় তবে আমি আদালতে এর প্রমাণ দাখিল করব। আমি চাই, যত দ্রুত সম্ভব রামমন্দির তৈরি হোক।” এই দাবির স্বপক্ষে তাঁর হাতে পারিবারিক দলিল, নথিপত্র ও বংশতালিকা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে, নিজে থেকে অযোধ্যা মামলার আইনি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবেন কি না, সেই বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন ওই বিজেপি সাংসদ।
দিন কয়েক আগেই অযোধ্যা মামলার শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। সে সময় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন রাম লালা বিরাজমানের আইনজীবী কে পরাশরণ। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানতে চান, ‘‘আমরা আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি, এখনও কি রঘুবংশ রাজপরিবারের কোনও বংশধর রয়েছেন?’’ সেই প্রশ্নের জবাব অবশ্য আইনজীবী কে পরাশরণ দিতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে এ নিয়ে কোনও তথ্য নেই। আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করব।’’ অযোধ্যার বিতর্কিত ওই জমির মামলাতে রামলালা বিরাজমান নিজেই এক জন মামলাকারী। রামের হয়ে মামলা ঠুকেছিলেন তাঁর ভক্তরা।
আরও পড়ুন: অমিতের দাবি সন্ত্রাস মুছবে কাশ্মীরে, একেবারেই একমত নন বাজপেয়ী জমানার ‘র’ প্রধান
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ‘অন্য কাশ্মীর’