বিধানসভায় বসে নীলছবি দেখার অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে! প্রতীকী ছবি।
বিধানসভা চলাকালীন অধিবেশন কক্ষে বসে একমনে নীলছবি দেখছেন বিজেপি বিধায়ক! সেই ছবি ও ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ত্রিপুরা বিধানসভার। নীলছবি দেখতে গিয়ে ধরা পড়েছেন বিজেপি বিধায়ক যাদবলাল নাথ। তিনি ত্রিপুরার বাগবাসা কেন্দ্রের বিধায়ক।
বিড়ম্বনার একশেষ! অধিবেশন চলাকালীন নিজের মোবাইলে নীলছবি দেখতে গিয়ে ধরা পড়লেন ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, বিধানসভার আসনে বসে যাদবলাল নিজের মোবাইলে ভিডিয়ো দেখছেন। দাবি, সেই ভিডিয়ো আসলে নীলছবি শ্রেণির। আনন্দবাজার অনলাইন ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। সূত্রের খবর, বিজেপি ওই বিধায়কের কাছে জবাবদিহি তলব করেছে। যদিও এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত যাদবলালের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অধিবেশন শেষ হতেই কারও সঙ্গে কথা না বলে যাদবলাল বিধানসভা ছাড়েন বলে জানা গিয়েছে।
জানা যাচ্ছে, যাদবলাল প্রথমে সিপিএম করতেন। ২০১৮ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। সে বারের বিধানসভা ভোটে সিপিএম প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে লড়লেও জিততে পারেননি। তবে ২০২৩-এর বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রতীকে বাগবাসা থেকে জয়লাভ করেন তিনি।
তবে এই প্রথম নয়। আগেও বিধানসভায় বসে নীলছবি দেখার ঘটনা ঘটেছে। ২০১২ সালে কর্নাটকের বিজেপি সরকারের দুই মন্ত্রী তর্কবিতর্কে অংশ নেওয়া শিকেয় তুলে নীলছবি দেখতে গিয়ে ধরা পড়েন। সেই সময় নীলছবি দেখায় অভিযুক্ত মন্ত্রী লক্ষ্মণ সাভাদি দাবি করেছিলেন, মনোরঞ্জনের জন্য নয়, তিনি ওই ভিডিয়ো দেখছিলেন শিক্ষা সংক্রান্ত কারণে। রেভ পার্টি নিয়েও এ থেকে জানা যায় বলেও সেই সময় দাবি করেছিলেন বিজেপি সরকারের মন্ত্রী। শুধু তিনিই নন, সাভাদির ফোনে ওই ভিডিয়ো ভাগ করে দেখেছিলেন আর এক মন্ত্রী সিসি পাটিলও। নিন্দার মুখে দুই মন্ত্রীকেই পদত্যাগ করতে হয়। যদিও বিজেপির তরফে করা তদন্তে তাঁদের ‘দোষ’ প্রমাণ হয়নি। তাই তাঁরা আবার দফতরে পুনর্বহাল হন।
খুব সম্প্রতি বিহারের রাজধানী পটনার রেলস্টেশনে লাগানো টিভিতে আচমকাই প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি ছায়াছবি চলতে শুরু করে। তা দেখে হতবাক হন যাত্রীরা। তড়িঘড়ি টিভি বন্ধ করা হয়।