National news

উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে অবশেষে আটক বিজেপি বিধায়ক

এত দিন কুলদীপ কিন্তু ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাঁকে আটক করে লখনউয়ের হজরতগঞ্জে সিবিআই দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে দফায় দফায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৮ ১১:৩৬
Share:

সিবিআইয়ের হাতে আটক কুলদীপ সিংহ সেনগার।

যাওয়ার কথা ছিল বারাণসীর মন্দিরে পুজো দিতে। কিন্তু তার আগেই আটক হলেন উন্নাও ধর্ষণে অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেনগার। শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ লখনউয়ে ইন্দিরানগরে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ চললেও এখনও উন্নাওয়ের বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়নি বলে সিবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। তবে আজকের রায়ে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, তদন্তের অগ্রগতির দিকে আদালত নজর রাখবে। চাপে পড়ে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘দোষীরা ছাড়া পাবে না। অপরাধকে বরদাস্ত করা হবে না।’’

Advertisement

উন্নাও কাণ্ডে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগে গতকালই ইলাহাবাদ হাইকোর্টের তিরস্কারের মুখে পড়তে হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে। আদালত জানতে চেয়েছিল, অভিযুক্ত বিধায়ককে এক ঘণ্টার মধ্য গ্রেফতার করা হবে কি না। জবাবে রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয় কুলদীপকে গ্রেফতার করার মতো কোনও প্রমাণ তাদের হাতে নেই। উত্তরপ্রদেশের গণ্ডি ডিঙিয়েউন্নাওকাণ্ড চলে এসেছে জাতীয় রাজনীতির আঙিনাতেও। গতকাল রাতে দিল্লিতে মোমবাতি মিছিল করে উন্নাওয়ের ঘটনা নিয়ে যেভাবে সরব হয়েছেন খোদ রাহুল গাঁধী, তাতে বিজেপি শিবিরের উপরে চাপ বাড়ছে।

গত বছর জুনে, উন্নাওয়ের এক কিশোরীকে দলবল নিয়ে গিয়ে কুলদীপ গণধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ। ‘ধর্ষিতা’ কিশোরীর দাবি, তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু লাভের লাভ কিছু্ হয়নি। গত ৮ এপ্রিল লখনউয়ে যোগী আদিত্যনাথের বা়ডির সামনে ওই কিশোরী গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এর এক দিন পরেই পুলিশি হেফাজতে রহস্যময়ভাবে মারা যান তাঁর বাবা। পরিবারের অভিযোগ, কুলদীপের ভাই অতুলের নেতৃত্বে গুণ্ডাবাহিনী তাঁকে পিটিয়ে খুন করেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: বিচার পাবেই আসিফা, টুইট ভি কে সিংহের

আরও পড়ুন: অম্বেডকরের মূর্তি সাফাই করবে বিজেপি

অতুল গ্রেফতার হলেও, এত দিন কুলদীপ কিন্তু ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাঁকে আটক করে লখনউয়ের হজরতগঞ্জে সিবিআই দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে দফায় দফায়। সিবিআই জানিয়েছে, কুলদীপের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হামলার অভিযোগে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement