বিজেপিকে অক্সিজেন দিল নীতীশের রাজ্য

ললিত মোদী বিতর্ক থেকে ব্যপম কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত বিজেপির মুখে আজ হাসি ফোটাল বিহারের বিধান পরিষদ নির্বাচনের ফল। লালু-নীতীশ-কংগ্রেসের জোটকে পিছনে ফেলে ওই ভোটের ফলে এগিয়ে গেল বিজেপি। বিধান পরিষদের নির্বাচন সে ভাবে আম জনতার রায়ের প্রতিফলন না হলেও এ মাসের শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রচার শুরুর আগে বিজেপি নেতৃত্বকে অক্সিজেন জোগাল এই ফল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৫ ০৩:৫৫
Share:

ললিত মোদী বিতর্ক থেকে ব্যপম কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত বিজেপির মুখে আজ হাসি ফোটাল বিহারের বিধান পরিষদ নির্বাচনের ফল। লালু-নীতীশ-কংগ্রেসের জোটকে পিছনে ফেলে ওই ভোটের ফলে এগিয়ে গেল বিজেপি। বিধান পরিষদের নির্বাচন সে ভাবে আম জনতার রায়ের প্রতিফলন না হলেও এ মাসের শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রচার শুরুর আগে বিজেপি নেতৃত্বকে অক্সিজেন জোগাল এই ফল।

Advertisement

এই নির্বাচন জনমতের প্রতিফলন না হলেও গোড়া থেকে বিজেপি নেতৃত্ব এটিকে বিহার বিধানসভা ভোটের সেমিফাইনাল বলেই তুলে ধরেছিল। পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন নীতীশ কুমারও। ফল প্রকাশের পর দেখা গেল ২৪টির মধ্যে ১৮টি আসনে লড়ে ১১টিতেই জয়লাভ করেছে বিজেপি। একটি আসনে বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টির এক প্রার্থীও জয়লাভ করেছেন। পটনা কেন্দ্রে জিতেছেন নির্দল প্রার্থী রীতলাল যাদব। বেউর জেল থেকেই নির্বাচনে লড়েছিলেন প্রাক্তন আরজেডি নেতা রীতলাল। তিনি খুন, অপহরণ, অস্ত্র পাচার-সব বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় অভিযুক্ত। জেডিইউ পাঁচটি, আরজেডি চারটি এবং কংগ্রেস একটি আসনে জিতেছে। সব মিলিয়ে ১০টি আসনে জিতেছে শাসক জোট। দশটি করে আসনে লড়াই করেছিল জেডিইউ এবং আরজেডি। কংগ্রেস তিনটি আসনে এবং এনসিপি একটি আসনে লড়াই করেছিল।

দিল্লি বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পরে বিহারের ভোট এ বার সম্মানের লড়াই নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের কাছে। এ মাসের ২৫ তারিখই মুজফ্ফরপুর থেকে প্রচার শুরু করছেন মোদী। তার আগে আজকের ফল আসতেই দিল্লি ও পটনায় বিজেপি শিবিরে জয়ের উৎসব শুরু হয়ে যায়। দুই জায়গায় ফাটানো হয় আতসবাজি।

Advertisement

বিহারের ভোটের দিকে তাকিয়ে জাতপাতের রাজনীতির সুর চড়াতেও শুরু করে দিয়েছেন অমিত শাহ। দিল্লিতে দলের সদর দফতরে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপিই এমন একটি দল, যেখানে সব থেকে বেশি ওবিসি মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। আমরাই দেশকে প্রথম ওবিসি প্রধানমন্ত্রীও দিয়েছি।’’ জাতপাতের রাজনীতি করার জন্য বিজেপির সমালোচনা করেছে কংগ্রেস।

বিজেপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে যে ভাবে সুষমা স্বরাজ, বসুন্ধরা রাজে থেকে শিবরাজ সিংহ চৌহান নিয়ে দলের মুখ পুড়েছে, তার মধ্যে আজ বিহারের ফল দলের কাছে অনেকটাই স্বস্তি এনে দিয়েছে। সংসদের অধিবেশনের আগে এ বার এই ফলকে সামনে রেখেই আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।’’ কংগ্রেসের প্রতি তাঁর কটাক্ষ, ‘‘দিল্লিতে সনিয়া গাঁধী যতই ইফতার পার্টি দিয়ে অ-বিজেপি দলগুলিকে একত্রিত করার চেষ্টা করুন, আজকের ফল প্রমাণ করে দিয়েছে বিরোধী জোটের শক্তি নেই। এখনও নরেন্দ্র মোদীর হাওয়া অব্যাহত।’’

স্বভাবতই এই দাবি মানতে রাজি নন বিরোধীরা। নীতীশ কুমারের বক্তব্য, ‘‘এই নির্বাচনে সে ভাবে রাজনীতি ও সাধারণ মানুষের কোনও ভূমিকা নেই। তা ছাড়া আমরা নিজেদের আসন ছেড়েছি। কংগ্রেসের আসন ছিল না। তারাও একটিতে জিতেছে। বিজেপি বেশি মাতামাতি করছে।’’ তবে বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীর বক্তব্য, ‘‘সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন জেলায় ভয় দেখিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে জেডিইউ-আরজেডি। তা সত্বেও আমাদের ফল ভাল হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement