সিপিএমের অমরপুর মহকুমা দফতরে আজ মে দিবসের পতাকা তুলতে দেয়নি বিজেপি কর্মীরা। সকালে দলের নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন শ্রমিক দিবস পালনের জন্য। কিছু বিজেপি কর্মী-সমর্থক এসে বাধা দেয় ও অশ্রাব্য গালাগাল করে। পুলিশ ছিল দর্শকের ভূমিকায়। এ দিন এই একই ছবি দেখা গিয়েছে ত্রিপুরার বিভিন্ন অংশে।
সকালে পশ্চিম জেলার ডুকলিতে সিপিএমের দফতরে পতাকা তুলতে বাধা দেওয়া হয়। আগরতলা স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার সামনে মে দিবসের জমায়েত হলে বিএমএসের পতাকা নিয়ে কিছু লোক এসে বাধা দেয়| আগরতলার ফায়ার সার্ভিস চৌমহনিতে মে দিবসের বেদিও ভেঙে দেওয়া হয়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এই সন্ত্রাস বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন বিপ্লব দেব সরকারের কাছে।
বিকেলে আগরতলা প্যারাডাইস চৌমহনিতে মে দিবসের এক জমায়েতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, ‘‘এ বারের বিধানসভা ভোটে নানা প্রলোভন ও বিভাজনের খেলা হয়েছে। কিছু মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছেন। সকলে নয়। নয়তো আমরা ৪৫% ভোট পেতাম না। মানুষের রায় আমরা মেনে নিয়েছি। চোখ-কান বুজে সরকারের বিরোধিতা করব না। কিন্তু বর্তমান সরকারের কাছে আবেদন, সন্ত্রাস বন্ধ হোক। কাজ করুন। মানুষ মানিক পাল্টে হীরা তো এনেছে। কিন্তু রাজ্যে দেখা যাচ্ছে নানা শ্রমিক সংগঠনের অফিসের রং পাল্টে নিচ্ছে। হুমকি দিয়ে টাকা তোলা হচ্ছে।’’ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর বলেন, ‘‘যারা এ সব করছে, তারা শ্রমিক-বিরোধী। আরএসএস, বিজেপি এবং বিএমএসের লোকেরা আজ বিভিন্ন জায়গায় মে দিবসের কর্মসূচি পালনে বাধা দেয়। আমরা এর নিন্দা করছি।’’