ফাইল চিত্র।
খয়রাতির আর্থিক প্রভাব খতিয়ে দেখা উচিত বলে সুপ্রিম কোর্টে জানালেন বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়। এর প্রভাব খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরির আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, রাজ্যগুলি বাজেটে যথাযথ বরাদ্দ না করেই খয়রাতি করছে।
যুক্তির তোয়াক্কা না করে বিনা মূল্যে পণ্য বা পরিষেবা দেওয়ার জন্য (খয়রাতি) রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন বিজেপি নেতা ও আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। আজ আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী বিজয় হংসারিয়া জানান, বাজেটে যথাযথ বরাদ্দের ব্যবস্থা না করে খয়রাতি করা নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের দু’টি শীর্ষ অর্থনৈতিক সংস্থা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাজ্য সরকারগুলি কেন্দ্রের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ শোধ না করেই আরও ঋণ নিয়ে চলেছে। এ ক্ষেত্রে সংবিধানের ২৯৩ অনুচ্ছেদের ৩ ও ৪ নম্বর ধারা মানছে না তারা। এই ধারাগুলি সঠিক ভাবে কার্যকর করা প্রয়োজন। রাজ্যগুলিকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে চালু করা প্রয়োজন ক্রেডিট রেটিং ব্যবস্থা।’’
আবেদনকারীর তরফে যথাযথ ব্যবস্থা না করে খয়রাতি করার অর্থনৈতিক প্রভাব খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠনেরও আর্জি জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে আবেদনকারীর আর্জি, রাজ্যের গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের সঙ্গে ঋণের অনুপাত কমাতে একটি নীতি তৈরির নির্দেশ দিক কোর্ট। বিভিন্ন রাজ্যের রাজকোষের উপরে নজরদারির জন্য ব্যবস্থা তৈরিরও নির্দেশ দেওয়া হোক। তাতে রাজ্যগুলির রাজকোষের অবস্থা কঠিন হলে আগেই সতর্ক হওয়া যাবে।
৩ অগস্ট কেন্দ্র, নীতি আয়োগ, অর্থ কমিশন ও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ককে এই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করতে বলেছিল শীর্ষ আদালত। বিচারপতিদের মতে, কোনও রাজনৈতিক দল এর বিরোধিতা করতে বা সংসদে এ নিয়ে আলোচনা করতে চাইবে না। তাই ওই প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে এই বিষয়ে মত চেয়েছিলেন তাঁরা। এই বিষয়ে কেন্দ্রকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য একটি ব্যবস্থা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিল বেঞ্চ।
সম্প্রতি এই খয়রাতিকে উত্তর ভারতের জনপ্রিয় খাবার রেউড়ির সঙ্গে তুলনা করে ‘রেউড়ি সংস্কৃতি’ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের পাল্টা বক্তব্য, বিনা মূল্যে শিক্ষা, বিদ্যুৎ, পরিবহণের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিকে খয়রাতি বলা যায় না। এই পরিষেবা পাওয়ার মৌলিক অধিকার আছে দেশবাসীর। সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা আবেদনেও সে কথা জানিয়েছে আপ।