প্রীতম মুণ্ডে
দুর্নীতিতে জড়িত থাকলে কাউকেই ছেড়ে কথা বলা হবে না বলে বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মহারাষ্ট্র সফরের ঠিক আগেই বিজেপি সাংসদ প্রীতম মুণ্ডের নেতৃত্বাধীন ব্যাঙ্কের কর্মীদের বিরুদ্ধে বেআইনি পথে বাতিল নোট বদলের অভিযোগ আনল সিবিআই। এই ষড়যন্ত্রে মুম্বইয়ের পদ্মভূষণজয়ী এক ক্যানসার চিকিৎসকও জড়িত বলে অভিযোগ তদন্তকারীদের।
মোদী সরকারে মন্ত্রী ছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রবীণ রাজনীতিক প্রয়াত গোপীনাথ মুণ্ডে। তাঁর মেয়ে পঙ্কজা এখন মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারে গ্রামোন্নয়ন দফতরের দায়িত্বে। বিড় জেলার ‘বৈদ্যনাথ কো-অপারেটিভ আরবান ব্যাঙ্ক’ তৈরি করেছিলেন গোপীনাথই। এখন ওই ব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদের অন্যতম সদস্য পঙ্কজার বোন বিজেপি সাংসদ প্রীতম।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, ১৬ ডিসেম্বর বিড়ে ওই ব্যাঙ্কের সদর দফতর থেকে বাতিল নোটে ২৫ কোটি টাকা আনা হয় মুম্বইয়ের ঘাটকোপার শাখায়। তার মধ্যে ১৫ কোটি টাকা জমা দেওয়া হয় মুম্বইয়ের একটি সমবায় ব্যাঙ্কে।
বাকি ১০ কোটি টাকা গাড়িতে বিড়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময়ে গাড়িটি আটক করে পুলিশ ও আয়কর দফতর। পরে মামলা আসে সিবিআইয়ের হাতে।
গত কাল ‘বৈদ্যনাথ কো-অপারেটিভ আরবান ব্যাঙ্ক’-এর দুই ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল সিবিআই। আজ অভিযুক্তের তালিকায় যোগ হয়েছে আরও কয়েক জনের নাম। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মুম্বইয়ের এক ক্যানসার চিকিৎসক। ২০১২ সালে পদ্মভূষণ পাওয়া ওই চিকিৎসক মুম্বইয়ের চিকিৎসা জগতে পরিচিত নাম। সিবিআইয়ের অভিযোগ, তিনিও এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন। তবে এখনও এই মামলায় কাউকে গ্রেফতার করেনি সিবিআই।
টাকা আটকের পরেই প্রীতম মুণ্ডে দাবি করেন, ‘‘ওই টাকা এক ব্যাঙ্ক থেকে অন্য ব্যাঙ্কে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এর মধ্যে বেআইনি কিছু নেই। যে টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তার হিসেব ব্যাঙ্কের নথিতে রয়েছে।’’
অভিযোগের তদন্ত ঠিক পথে এগোবে কি না তা নিয়ে অবশ্য সন্দিহান মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস। এক কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, ‘‘পঙ্কজার বিরুদ্ধেও সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু দেবেন্দ্র ফডণবীস সরকার সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। এ ক্ষেত্রেও তদন্ত কতটা ঠিক পথে এগোবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।’’