প্রতীকী ছবি।
গো-রক্ষার নামে যখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্বঘোষিত গো-রক্ষকদের দাপাদাপি চলছে, সে সময় ছত্তীসগঢ়ের দুর্গে একটি গোশালায় গত তিন দিনে ‘অনাহার ও অপুষ্টি’তে মৃত্যু হল ২৭টি গরুর। গোশালাটি স্থানীয় বিজেপি নেতা হরিশ বর্মার। ‘ছত্তীসগঢ় রাজ্য গো সেবা আয়োগ’ অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে বর্মাকে। অভিযোগে বলা হয়েছে, অনাহার ও অপুষ্টির জন্যই মারা গিয়েছে গরুগুলি। যদিও বর্মা দাবি করেন, গত ১৫ অগস্ট দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে গরুগুলোর।
আরও পড়ুন: সততার দোকান শিলচরের স্কুলে
আরও পড়ুন: গোমাংস গুজবে ফের মার, বিহারে জখম ৭
রাজপুরের ওই গোশালায় প্রায় ৫০০টি গরু রয়েছে। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত গোশালাটি দেখাশোনা করেন ওই বিজেপি নেতাই। ‘ছত্তীসগঢ় রাজ্য গো সেবা আয়োগ’-এর অভিযোগ, সরকারি সাহায্য পাওয়া সত্ত্বেও গরুগুলোর ঠিক মতো দেখাশোনা করতেন না বর্মা। বিজেপি নেতা সেবা আয়োগের অভিযোগকে অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করেন, সরকারি সাহায্য পাচ্ছেন বলে বার বার বিষয়টি জানিয়েছিলেন সেবা আয়োগকে। অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের মধ্যে কংগ্রেস দাবি করে, সংখ্যাটা আদৌ ২৭ নয়, অপুষ্টিতে গত তিন দিনে ওই গোশালায় ৩০০ গরুর মৃত্যু হয়েছে।
দুর্গের অতিরিক্ত জেলাশাসক সঞ্জয় অগ্রবাল জানান, রাজপুরের ওই গোশালায় গত তিন দিনে ২৭টি গরুর মৃত্যু হয়েছে ঠিকই, তবে কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। গরুর মৃত্যুর খবর পেয়েই সেখানে পশু চিকিত্সকের একটি দল পাঠানো হয়। গরুগুলোর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কী কারণে এতগুলো গরুর মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।